প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারীর ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। আর রোজা রাখতে সেহরি খাওয়া সুন্নত করা হয়েছে। অনেকেই তারাতারি সেহরি খেয়ে নেন আবার অনেকেই একেবারেই শেষ সময়ে সেহরি খান। সেহরি খাওয়ার বিষয়ে কয়েকটি মাসআলা দেয়া হলো।
সেহরি খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সেহরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে আছে, নবী কারিম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও। কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে।
অন্য বর্ণনায় আছে, সেহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করবে না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি কর। কারণ যারা সেহরি খায় আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তার ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (মুসনাদে আহমদ ৩/১২মুসান্নাফে ইবনে আবী শয়বা ৯০১০সহি ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)
সেহরি সম্পর্কে হদিসে আরও এসেছে, সুবহে সাদিকের কাছাকছি সময়ে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব। এত দেরি করা মাকরুহ, কারণ সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ১/২০০)
হাদিস শরিফে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সকল নবীকে (সময় হয়ে গেলে দেরি না করে) তাড়াতাড়ি ইফতার করতে আদেশ করা হয়েছে এবং সেহরি বিলম্বে খেতে বলা হয়েছে। (আলমুজামুল আওসাত ২/৫২৬,হাদিস ১৯০৫ মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৩৬৮)
অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায়। আমর ইবনে মায়মুন আলআওদী বলেন, সাহাবায়ে কেরাম দ্রুত ইফতার করতেন আর বিলম্বে সেহরি খেতেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক,হাদিস ৭৫৯১মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদিস ৯০২৫)
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)