শেষ বিকেলে তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

শেষ বিকেলে তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা আতাহার হোসেন মধ্যবাড্ডায় এক আত্মীয়ের বাসায় ইফতার করতে বিকেল ৪টায় বাসা থেকে বের হন। অন্যান্য সময় মোটর সাইকেলযোগে সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটে পৌঁছতে পারলেও আজ তার গন্তব্যে পৌঁছতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।

তিনি বলেন, মগবাজার থেকে যানজট পেরিয়ে হাতিরঝিলে পৌঁছে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু হাতিরঝিল থেকে কিছুটা ফাঁকা রাস্তা পেরিয়ে গেলেও তেজগাঁওয়ের সামনে এসে তীব্র যানজটের কবলে পড়ি।

সামনে তাকিয়ে দেখি শত শত যানবাহন স্থির দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর পর পিঁপড়ার গতিতে গাড়ি এগোচ্ছে। কয়েকজন বাসচালক বলাবলি করছিলেন, গুলশান-১ নম্বর পর্যন্ত যানজট লেগে আছে।

আতাহার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা শহর চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

news24bd.tv

শুধু আতাহার হোসেন নন, সোমবার শেষ বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রচণ্ড যানজটে নাকাল হন নগরবাসী। আজ নিয়ে মাত্র চার রোজা শেষ হয়েছে। সপ্তাহ না পেরুতেই নগরজুড়ে যানজট নগরবাসীর মনে রীতিমতো ভীতির উদ্রেক হয়েছে। কারণ এখনও বেশিরভাগ নগরবাসী ঈদের কেনাকাটা করতে শপিংমলে যাচ্ছেন না। মাস শেষে বেতন পাওয়া মাত্রই বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার-পরিজনের ঢল নামবে। তখন রাস্তাঘাটে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে ভেবে অনেকে শিউরে উঠছেন।

শেষ বিকেলে যানজটের কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, রমজান মাস উপলক্ষে বর্তমানে সরকারি অফিসে কর্মঘণ্টা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ফলে অফিস ছুটির পরপরই হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফেরার তাগিদে ছোটাছুটি শুরু করে। বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশা একযোগে রাস্তায় নামায় মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতায় যানজটের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

এদিকে, যানজট নিরসন করতে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, আপনার একটু সচেতনতাই বদলে দিতে পারে ঢাকা শহরের যানজটের চিত্র। আপনি বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে চান। ঠিক অন্যজনও তার পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটা মনে রেখে রাস্তায় চলাচল করুন। আপনার নিরাপদ রাস্তা চলাচল নিশ্চিতকল্পে ক্লান্তহীনভাবে কাজ করছে পুলিশ।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর