পটুয়াখালীর বাউফলে মো. হান্নান ও ইয়ার হোসেন নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবাসহ আটকের পর রফাদফা শেষে উদ্ধারকৃত ইয়াবা গায়েব করে ব্যবসায়ীদের থানা হাজতে নেওয়ার আভিযোগ উঠেছে এক এএসআইর বিরুদ্ধে। বাউফল পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেলে বাউফল থানার এএসআই মামুন সাদা পোশাকে এক কনেস্টবলকে সঙ্গে নিয়ে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের রহমাতুল্লাহর বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে মাদক ব্যবসায়ী হান্নান ও ইয়ার হোসেনকে আটক করেন। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে কিছু ইয়াবা উদ্ধার করলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খবর শুনে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের হাতে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তিনি এএসআই মামুন ও পুলিশ কনেস্টবলকে নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের আত্মীয় আনছার মিয়ার ঘরে যান। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তারা ঘর থেকে বের হন। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কাউন্সিলর বেল্লাল হোসেনের রফাদফা শেষে উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো গায়েব করে ফেলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলর বেল্লাল হোসেনের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে হান্নান ও ইয়ার হোসেন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর বেল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এবং আমার কোনো আত্মীয় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর