গাজীপুরে অপহৃত ৩ কিশোরকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

গাজীপুরে অপহৃত ৩ কিশোরকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্ • নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে অপহরণের ৯ দিন পর তিন কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (২৪ মে) ভোরে অপহৃত কিশোরদের চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার মোজাকাঠগড় এলাকা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে কাপাসিয়া থানা পুলিশ।

উদ্ধারকৃতরা হলো- কাপাসিয়ার শ্যামপুর এলাকার মোকলেছুর রহমানের ছেলে সানিত (১৪), ফরিদ মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮) ও সালদৈ এলাকার দুলাল মোড়লের ছেলে ইকবাল মোড়ল (১৭)। তারা ৩ বন্ধু।

জানা যায়, ১৫ মে সকালে সানিদ, সোহাগ ও ইকবাল সালদৈ মোড়ে যাত্রী ছাউনিতে বসে আলাপ করছিল। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল রমজানের ছুটিতে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়। ৩ বন্ধুর পাশে বসে তাদের আলাপচারিতা শুনছিল অপহরণকারী মস্তফা কামাল বাপন (৩৪)।

কিশোরদের আলোচনা শেষ হলে বাপন তাদের সঙ্গে কথা বলে।

অপহরণকারী বাপন তাদের এই বলে ফুঁসলায় যে, কাপাসিয়াতে তার নিজের একটি জুতার ফ্যাক্টরি আছে, তাতে কাজ দেবে।  

news24bd.tv

তার কথায় ওই ৩ কিশোর রাজি হয়ে যায়। আর তাই মস্তফা কামাল বাপনের সাথে কাপাসিয়া আসার উদ্দেশ্যে সমাট্র পরিবহনের বাসে ওঠে। কিন্তু ছেলে ৩ জনকে কাপাসিয়া না এনে অপহরণকারী তাদের অচেতন করে আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে অপর অপহরণকারী সোয়েনা বেগম (৪০) ও রিতার (৩০) সহযোগিতায় কিশোদের হাত মুখ বেঁধে ফেলে রাখে।  

পরে বাপন অপহৃত ইকবালের বাবাকে ফোন করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে স্বজনরা বিকাশের মাধ্যমে ২১ হাজার টাকা পাঠিয়ে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে।  

কিন্তু উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে গেল ১৯ মে কাপাসিয়া থানায় অপর অপহৃদ সোহাগের বাবা ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরেআসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন।  

মামলাটির তদন্ত ও ভিকটিম উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয় কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেনকে। কিন্তু তিনি উদ্ধারের কাজ না করে উল্টো সাধারণ মানুষকে থানায় এনে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

পরে এ মামলাটি থানার ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান খানকে দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানার মোজাকাঠগড় এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘কিশোরদের স্বজনরা থানায় অপহরণের অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করি এবং ভিকটিমদের উদ্ধারে অভিযান চালাই। ’

অবশেষে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা অপহৃত ৩ কিশোরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি।

জিন্নাহ্/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর