‘লিবিয়া ভাববেন না, সাহস থাকলে যুদ্ধে আসুন’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন।

‘লিবিয়া ভাববেন না, সাহস থাকলে যুদ্ধে আসুন’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা চোয়ে সন-হুই যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে লিবিয়া ভাববেন না, সাহস থাকলে পরমাণু যুদ্ধে নেমে শক্তির পরীক্ষা করুন। ‌

‘উত্তর কোরিয়ার পরিণতি লিবিয়ার মতো হতে পারে’- মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের এমন মন্তব্যের জবাব দিতে সন-হুই এ হুঁশিয়ারি দেন।

চোয়ে সন-হুই আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য পিয়ংইয়ং ‘হাত পেতে বসে নেই’। তার এমনটা ভাবলে ভুল করবে।

 

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সাংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’তে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা বলেন চোয়ে। বেক্কল পেন্সের মন্তব্যের কারণেই জুনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের সম্ভাব্য বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পথে বলে মন্তব্য করেন চোয়ে। খবর বিবিসি ও এএফপির।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং দুপক্ষই ১২ জুনের প্রস্তাবিত বৈঠক দেরিতে বা বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছে।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর কোরীয় উপদ্বীপকে ‘নিরস্ত্রীকরণে’ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম।

এর ধারাবাহিকতায় কিম ও ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করছিলেন পর্যবেক্ষকরা।

কী প্রক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণের কথা বলেন। এর পরই ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়।

২০০৩ সালে লিবিয়া পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃস্থাপিত হয়। এর আট বছর পর ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহী ও আধাসামরিক গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়।

পিয়ংইয়ং বোল্টনের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানালে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণের কথা ভাবছেন না তারা।

সম্পর্কিত খবর