রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানার কাছে বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আবদুল্লাহর পরিবার। ফলে তাদের লাশ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুকুল আলম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহর ভাই মীর আখলাক খোকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কারও লাশ গ্রহণ করবেন না বলে জানান।
পরিবার লাশ গ্রহণ না করলে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ ও ওই গলির নিরাপত্তারক্ষী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, ওই বাড়ির ভেতরে ছয়টি শক্তিশালী বোমা পাওয়া গেছে।
অভিযানের ঘটনায় গত রাতে দারুস সালাম থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন র্যাব-৪–এর নায়েক সুবাদার হারুন অর রশীদ।
রাজধানীর মিরপুরের বর্ধনবাড়ি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়ি গত সোমবার রাত থেকে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ওই বাড়িতে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই বাড়িতে থাকা জঙ্গি আবদুল্লাহসহ সাতজন নিহত হন। তাদের প্রত্যেকের শরীর আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে বলে বলে জানায় র্যাব।