রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ভারতের সহযোগীতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ভারতের সহযোগীতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আমরা মানবিক কারণে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মানবতার কারণে কাজ করছি।   সকলের কাছে সহযোগীতা চাই যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।   আমরা এ অঞ্চলের শান্তি চাই।

  বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার দুপুরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বভারতীর ৪৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

শেখ হাসিনা এই সমাবর্তনে যোগ দেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া আমার দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ আমাদের পাশে আছে।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, জাতির জনকের মেয়ে হিসেবে দেশের কল্যাণে কাজ করছি। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে দুদেশের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতবাসী আমাদের পাশে ছিল। ভারতের সেই অবদান আমরা ভুলব না। দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ছিটমহল সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ শুধু ভারতের নয়, বাংলাদেশেরও। সব অনুভূতির সঙ্গে মিশে রয়েছেন কবি। রবীন্দ্রনাথ আমাদের অন্তরের কবি। আমি মনে করি এটা আমারও বিশ্ববিদ্যালয়। মানুষ-প্রকৃতির অপরূপ মিশেল শান্তিনিকেতন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুই বাংলার।   রবীন্দ্রনাথ আমার হৃদয়ে আছে, থাকবে। বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চায় সুন্দর একটা পরিবেশ বিরাজমান।

এর আগে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুইদিনের সরকারি সফরে পশ্চিমবঙ্গের পথে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দমদমের নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজ কলি সেন।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর