বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী নাদিয়া, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা

বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী নাদিয়া, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা

আকবর হোসেন সোহাগ • নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার (১৬)। তার চোখ,কান,মুখ ও নাক দিয়ে একটু পর পরই রক্তক্ষরণ হচ্ছে, যেটা কিছুতেই থামছে না।  

মেয়েটির পরিবার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতা কামনা করেছে।

নাদিয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের পজর্দি মাঝি বাড়ির ইমাম উদ্দিনের বড় মেয়ে ও বামনী আছিরিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী।

বর্তমানে নাদিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৩০৬ নম্বর বেডে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মুক্তি রাণী মণ্ডলের অধীনে চিকিৎসাধীন আছে।

বিরল রোগে আক্রান্ত সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন চা দোকানি পিতা ইমাম উদ্দিন। কিন্তু কারো কাছে সহযোগিতা না পেয়ে তিনি একরকম ভেঙে পড়েছেন। উপায় না পেয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গেল নভেম্বরে মুখ থেকে রক্তক্ষরণ ও বমি হয় নাদিয়ার। এর ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থা দেখে তার বাবা প্রথমে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ঢাকার ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়।  

কিন্তু তাতেও নাদিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। আগের মতো এখনো রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। । সামান্য চা দোকানি পিতা সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় নাদিয়ার মাও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।  

মুঠোফোনে নাদিয়ার বাবা ইমাম উদ্দিন ও মা হাসিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কান্না জড়িত কণ্ঠে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, তাদের যতটুকু সামর্থ ছিল, ব্যয় করে কন্যার চিকিৎসা করিয়েছেন। এই চিকিৎসা ব্যয় বহুল। বর্তমানে তারা অর্থাভাবে সন্তানের ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারছেনা।  

মেধাবী শিক্ষার্থী নাদিয়া জানিয়েছে, সকলের সহযোগিতায় সে সুস্থ-সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়।

সোহাগ/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
 

সম্পর্কিত খবর