অজ্ঞান পার্টির খপ্পর থেকে বাঁচতে করণীয়

প্রতীকী ছবি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পর থেকে বাঁচতে করণীয়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রোজা ও ঈদ আসলেই বেড়ে যায় অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা। এরা শুধু মানুষকে অজ্ঞান করে সর্বশান্তই করে না, অনেক সময় মৃত্যুও ঘটে ভুক্তভোগীর। রাস্তাঘাটে চলা ফেরার সময় বিপদ কখন আসবে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। অজ্ঞান পার্টির প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রীরা।

এ পার্টির সদস্যরা এতটাই ধূর্ত যে তাদের দেখে চেনার উপায় নেই। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে এ চক্রের সদস্যরা ছদ্মবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে পালিয়ে যায়।
এ চক্রের সঙ্গে নারী সদস্যও রয়েছে। যানবাহনে উঠে অহেতুক ভাব জমানোর চেষ্টা করে। সফলও হয়ে যায়। অনেক সময় দুর্বৃত্তরা স্বামী-স্ত্রী সেজে যানবাহনে ওঠে। এরপর টার্গেটকৃত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ফেলে।  

কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ বিড়ম্বনা অনেকটা কমানো যায়-

কারো হাতে রুমাল দেখলে সতর্ক থাকুন। কারণ রুমালের মধ্যে ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে আপনার নাকের কাছে ধরলেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন।

ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

ভ্রমনপথে অযাচিতভাবে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা দিবেন না।

আজকাল ডাবের ভিতরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে বিক্রি করা হয় অনেক স্থানে। তাই তৃষ্ণা নিবারনে সতর্ক থাকুন।

ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমান কারো কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি খাবেন না।

বাসে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করবেন না।

সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন খাবার গ্রহণ করবেন না।

ভ্রমণের সময় নির্জন পথ পরিহার করে চলাচল করুন।

ভ্রমণের সময় চেষ্টা করবেন পরিচিত কাউকে সাথে নিতে।

শুধু একটু সচেতনতাই রক্ষা করতে পারে আপনার জীবন ও সম্পদ।

সম্পর্কিত খবর