দিনাজপুরে লিচুর বাম্মার ফলন

দিনাজপুরের গাছে গাছে ঝুলছে এমন লিচু।

দিনাজপুরে লিচুর বাম্মার ফলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবছর অতিরিক্ত শীতের কারণে দেরিতে মুকুল আসায় লিচু ফলন ভালো হয়েছে। যে কারণে রমজান ও ঈদের পরেও ভালো পরিমাণে লিচু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগাম জাতের লিচু ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বাজারে দামও অনেকটা বেশি বলছেন ফল চাষীরা।

দিনাজপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত। গাছে গাছে লিচু পাকতেও শুরু করেছে। মাদ্রাজী, বম্বাই, বেদানা, চায়না থ্রী, হাড়িয়া, কাঁঠালীসহ বিভিন্ন জাতের লিচু হয় এ জেলায়।

বর্তমানে মাদ্রাজী জাতের লিচু পরিপক্ক হওয়ায় বাগানীরা সংগ্রহ করছে। বাজারে প্রকার ভেদে ১৫শ’ থেকে ২২শ’ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বম্বাই লিচু আবাদ হলেও তা পাকতে এখনো প্রায় ১ সপ্তাহ লাগবে। তাই ফলনে যাতে কোনো কমতি না হয় সে জন্য পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে ফল চাষীরা। বৃষ্টির কারণে পোকার আক্রমণ থেকে লিচুকে বাঁচাতে নিয়মিত স্প্রে করছে তারা। আবার অধিক ফলনের কারণে লিচু গাছের ডাল যাতে ভেঙ্গে না পড়ে তাই বাঁশ দিয়ে টানা দিতে হচ্ছে বাগানীদের।  

অনেকে বলছেন, আমাদের লিচু দেশের বাহিরে রপ্তানী করলে বৈদেশীক মুদ্রার পাশাপাশি কৃষরাও বেশ লাভবান হতো।

হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরুল আহসান বললেন, অতিরিক্ত শীতের কারণে লিচু গাছে দেরি করে মুকুল আসায় দেরিতে পাকছে। রোজা ও ঈদের পরেও ২৫ থেকে ৩০ ভাগ লিচু থাকবে এবং সেই সময় চাষীরা ভালো মুনাফা পাবে বাগানীরা। এবার লিচুর আকারের সঙ্গে ফলনও ভালো হয়েছে। তাই কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, বম্বাই ও বেদানা লিচু পাকতে আরো সাত দিন সময় লাগবে। রমজান মাস হলেও বিভিন্ন জেলায় লিচু সরবরাহ ও চাহিদা থাকায় কৃষক দামও ভালো পাচ্ছে। তবে কাঁঠালী জাতের লিচু সবার শেষে পাকে বলে এর দাম থাকে বেশি। তাই কৃষকদের এ জাতের লিচু আবাদে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই জাতের লিচুর আকার ও ফলন অনেক গুলে ভালো।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর