জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জাতিসংঘ সংস্থার চুক্তি

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জাতিসংঘ সংস্থার চুক্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

অসহনীয় আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ু দূষণের ফলে বার্ষিক ১২.৬ মিলিয়ন তথা এক কোটি ২৬ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর হার আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে। এ অবস্থায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের দুটি সংস্থা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ওয়ার্ল্ড মেটিয়োরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন(World Meteorological Organization (WMO) এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization(WHO) ৩১ মে জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে মানবতার জন্যে স্বস্তিদায়ক এ তথ্য। চুক্তি অনুযায়ী সংস্থা দুটি অঙ্গিকারাবদ্ধ হলো যে, তারা আহবাওয়া, জলবায়ু এবং সামগ্রিক গতি-প্রকৃতির সঠিক তথ্য সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়ে মানুষকে রক্ষায় করণীয় সুপারিশ পেশ করবে।

ওয়ার্ল্ড মেটিয়োরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র ক্লারে নুলিস (WMO spokesperson Clare Nullis) বলেন, এ দুটি সংস্থার কার্যক্রম বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গিকারের বিকল্প নেই। এবং সে ধরনের প্রত্যাশা থেকেই ওয়ার্ল্ড মেটিয়োরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মহাসচিব পিটারি টালাস (Secretary-General Petteri Taalas)  এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস ঘেব্রিয়াস (WHO Director-General Tedros Ghebreyesus) হাতে হাত রেখে সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন মানবতার সার্বিক কল্যাণে এই প্রক্রিয়ায় সোচ্চার থাকার জন্যে।

উল্লেখ্য, এ দুটি সংস্থা অনেকদিন ধরেই পরস্পরের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছে।

ক্লারে নুলিস উল্লেখ করেন, এ দুটি সংস্থার কার্যক্রমের সঠিক সমন্বয়সাধিত হলে জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর থেকে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরাও সত্যিকারের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে সক্ষম হবেন। বায়ু দুষণের ফলে বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য মানুষের প্রাণ গেছে। সে ধরনের ভয়ংকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে এখন এ দুটি সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যান্সার রোগের বিস্তার রোধে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে সংস্থা দুটি। কারণ, বার্ষিক গড়ে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সাম্প্রুতিক সময়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বায়ু দূষণের কারণেই সামগ্রিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এ সময় আরো জানানো হয়, গত সেপ্টেম্বরে পোর্টেরিকোতে হারিকেন মারিয়ার কারণে ৬৪ জনের প্রাণহানির তথ্য প্রকাশ করা হয় সরকারিভাবে। কিন্তু সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে সরেজমিনে এবং ফেডারেল ডাটা থেকে তথ্য সংগ্রহের পর উদঘাটিত হলো মৃতের সংখ্যা প্রকৃত অর্থে ৪৬০০।

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভয়ংকর পরিস্থিতির আশঙ্কায় যে সব দেশে রয়েছে তার অন্যতম বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও মিয়ানমার।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর