'নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিবন্ধন করা জরুরি'

'নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিবন্ধন করা জরুরি'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার মানবিকতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে এবং এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গার শতভাগ নিবন্ধন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদেরকে নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আনতে হবে, যাতে তারা নিজেরা বা অন্য কোন বাইরের শক্তি তাদেরকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে। একইসঙ্গে কী পরিমান রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে তারও হিসাব থাকা দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বিষয়টার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে পাকিস্তান এই সংকট জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে।  আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশ সহযোগিতা নিয়ে আসছে।

আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। কিন্তু সকর্ত থাকতে হবে, ছদ্মবেশে কেউ যেন এখানে ঢুকে নতুন কোন সমস্যা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করতে না পারে।

আজ শনিবার সকালে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে 'রোহিঙ্গা সংকটের শেষ কোথায়' শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।  

দেশের আলোচিত এই ইস্যু নিয়ে বৈঠকটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, এই সংকট জিইয়ে রাখতে পারলে কারা লাভবান হবে এটা পরিস্কার। ৪০ বছর ধরে রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রেখে চীনের কোন স্বার্থ উদ্ধার হতে পারে তার কোন উপাদান আমরা পাইনি। আমেরিকার বড় স্বার্থ এখানে আছে। কিন্তু তাদের তৎপরতা দেখে কখনো মনে হয়নি রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রেখে তাদের কোন লাভ হবে বা হয়েছে। ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় মিয়ানমারে ভারতের স্বার্থ আছে। তবে রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রাখলে ভারতেরই সমস্যা হবে। রোহিঙ্গা সংকট থাকলে তাদের পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি-সন্ত্রাসের ঝুঁকি বাড়বে। তাই তারাও রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রাখতে চাইবে না। আর আছে একমাত্র রাষ্ট্র পাকিস্তান। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা অঘোষিত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চায় বাংলাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলমান থাকুক। বাংলাদেশে যে অপরাধী জঙ্গি সংগঠনগুলো আছে তার সঙ্গে পাকিস্তান সরাসরি জড়িত। জঙ্গিবাদে মদদ দেয়ায় হাতেনাতে তাদের কর্মকর্তারা ধরা পড়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক দিক দিয়েও পাকিস্তান বাংলাদেশকে নিয়ে ঈর্ষায় আছে। তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে সরকারকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্পর্কিত খবর