নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে প্রথম নারী কন্সাল জেনারেল হিসেবে যোগদান করলেন পেশাদার কূটনীতিক সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। কাল (১ জুন) ১৫তম কন্সাল জেনারেল হিসেবে তিনি শামীম আহসানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
শামীম আহসান গেল মাসে হাই কমিশনার হিসেবে নাইজেরিয়ায় চলে গেছেন।
সাদিয়ার এ নিয়োগ নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিরই স্বাক্ষর বহন করছে।
সাদিয়া ফয়জুন্নেসা জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার ও কল্যাণ বিভাগের প্রধান হিসেবে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজতন্ত্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবাধর্মী ও স্বার্থরক্ষা সংশ্লিষ্ট নানাবিধ বিষয়ে অভিজ্ঞ।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অবস্থিত ‘এসকাপ’ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ও কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এই কূটনীতিক। এছাড়া তাঁর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন, ইউরোপ, জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক অর্থনীতি বিষয়ক উইংয়ে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারী সাদিয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। স্নাতকোত্তরে অসামান্য সফলতার জন্য তাঁকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এ ভূষিত করা হয়। চাকুরিতে যোগদানের পর তিনি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিসহ ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি ১৯৯৪ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ১৯৯৩ সালে রানার্স আপ হন। সাদিয়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত উপস্থাপক। বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রসারে তাঁর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
উন্নয়ন কূটনীতি, বৈশ্বিক ব্যবসায় সাফল্য, জনকূটনীতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় সংশ্লিষ্ট কূটনীতি বিষয়েও তাঁর বিশেষ দখল রয়েছে।
নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর সাদিয়া ফয়জুন্নেসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিউইয়র্ক অঞ্চলে প্রবাসীদের এগিয়ে চলার সাথে নিজেকে একাত্ম করতে চাই। এ ব্যাপারে এখানকার মিডিয়ার সহযোগিতার বিকল্প নেই। ’
‘বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে আমি প্রবাসীদের সাথে কাজ করে যাবো। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবাসীদের মতামত-পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবো’ বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সাদিয়া।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
