রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এবার ভারতের উদ্বেগ

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এবার ভারতের উদ্বেগ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও সহিংসতার মুখে জীবন নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা। প্রতিদিন বানের স্রোতের মতো বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা। ভেসে আসছে রোহিঙ্গা নারী-শিশুর ক্ষত-বিক্ষত বিকৃত লাশ। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গণহারে আশ্রয় নেওয়ার এ ঘটনায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।

শনিবার এক বিবৃতিতে ভারত বলেছে, সংযতভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে রাখাইন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে, নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের কল্যাণের কথাও ভাবতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করে রাখাইনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।  
 
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমারের টুইটে এই বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে এই অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ঢলে ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এর আগে আমরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছিলাম। দুই দেশ এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের কঠোর অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে এবং কোনো যুক্তিতেই সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।  

এদিকে গত দুই সপ্তাহে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এছাড়া আগে থেকেও প্রায় পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। প্রায় ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গার অধিকাংশই এখন মিয়ানমারছাড়া। তারা বাংলাদেশের পাশাপাশি আশ্রয় নিয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। এবার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমার। এ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাকে বের করে দিয়ে অথবা হত্যা করে সীমান্ত সিলগালা করে দিতে চাইছে দেশটি। গত বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জ থায়ের বক্তব্যে তেমনটাই আভাস পাওয়া গেছে।  

দেশটির দৈনিক 'দ্য ইরাওয়াদি'- কে তিনি জানান, দ্রুত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তের খোলা জায়গায় বেড়া নির্মান করা হবে। বেড়া নির্মাণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে চলতি অর্থবছরে কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। তবে যেকোনো উপায়ে এই বেড়া নির্মাণ করা হবে। এজন্য আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না। আমরা জানি না টাকা কোথা থেকে আসবে, তবে যে কোন উপায়ে এ বেড়া নির্মাণ করা হবে। গত বুধবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির কার্যালয়ে রাখাইন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি এ কথা জানান।

সম্পর্কিত খবর