বাজেটের আকার: ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি ৳
আয়: ৩,৩৯,২৮১ কোটি ৳
ঘাটতি: ১,২৫,২৯৩ কোটি ৳
ব্যাংক ঋণ: ৪২,০২৯ কোটি ৳
জিডিপি প্রবৃদ্ধি: ৭.৮%
মূল্যস্থিতি: ৭.৮%
বৈদেশিক ঋণ: ৬০,৫৮৫ কোটি ৳
ஜ▬▬●▬▬ஜ ஜ▬▬●▬▬ஜ ஜ▬▬●▬▬ஜ
আজ জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটিই বর্তমান মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট। এ কারণে আসন্ন বাজেটকে অনেকেই 'নির্বাচনী বাজেট' বা সবাইকে খুশি করার বাজেট বলছেন।
সাধারণত নির্বাচনী বাজেটে জনগণকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা থাকে।
যার ফলে এ ধরনের বাজেটে খুব বেশি সংস্কার বা পরিবর্তন হয় না। নতুন বাজেটেও সে অর্থে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। কেবল টাকার অঙ্কে বাড়ছে বাজেট।
অর্থমন্ত্রী এরই মধ্যে কর ও ভ্যাটের হারে কিছু পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার অপ্রয়োজনীয় কর থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। ভর্তুকির পরিমাণও বাড়ানো হবে। মোট জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে। এমপিও'র মতো বন্ধ অনেক কর্মসূচি ফের চালুর বিষয় বিবেচনায় নেয়া হবে। এছাড়া পদ্মা সেতুসহ দশ মেগা প্রকল্পে বেশি টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের তুষ্ট করতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যাতে ভোটাররা কোনোভাবেই চাপের মুখে না পড়েন সেদিকে সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি কমাতে ই-পেমেন্ট এবং ই-ফিলিং চালু করার ঘোষণা আসবে। একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সংশোধন করা হবে বিটিআরসি’র আইন।
এছাড়া রাজস্ব ব্যয়ের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১৩ ডিজিটের পরিবর্তে ৩৭ ডিজিটের বাজেট ও অ্যাকাউন্টিং ক্লাসিফিকেশন পদ্ধতি চালু করা হবে। তাছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভাতা জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পাবলিক) পদ্ধতিতে সরাসরি প্রদান পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পেনশন ডাটাবেজ প্রণয়ন, ই-চালান ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে সরকারের অর্থ অপচয় রোধ এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা গতিশীল করা হবে। আসন্ন বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়ানো হবে। এতে (বাজেটে) মোট জিডিপির ১ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে।
সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করবে। এজন্য পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল নির্মাণ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এজন্য এসব প্রকল্পে চলতি বছরের তুলনায় অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি বছর এ খাতে ৩৩ হাজার ১৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। সরকার এসব প্রকল্পের অগ্রগতি দেখিয়ে শেষ সময়ে ভোটারদের কাছে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরবে। কিছু ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে জনগণের ওপর বাড়তি কর, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করতে রাজি নয় সরকার। কিছু বিলাস পণ্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। ব্যক্তিশ্রেণির কর ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি কোনো করারোপ করা হচ্ছে না।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর