আর কতো সুবিধা চান, সরকারি চাকুরেদের অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

আর কতো সুবিধা চান, সরকারি চাকুরেদের অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘সরকারি চাকুরেদের যেসব সুযোগ-সুবিধা বর্তমান সরকার দিয়েছে এর আগে তারা জীবনে তা চোখেও দেখিনি। বেতন ৪০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বল্প সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

এরপরও তারা (সরকারি চাকরিজীবীরা) আর কত সুবিধা চান- বলে প্রশ্ন করেন অর্থমন্ত্রী।

আজ (৮ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন তুলেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণকে বাস্তবসম্মত পর্যায়ে উন্নীত করার নির্দেশনা দেন।

সরকারি কর্মচারীরা বিশেষত নবীন কর্মকর্তারা যেন একটি ফ্ল্যাট বা গৃহের মালিক হতে পারেন, সে দিক লক্ষ্য রেখে আমরা ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের বিষয়ে একটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছি। আগামী অর্থ বছরেই তা কার্যকর হবে বলে আশা রাখি ‘

তিনি বলেন, এ নীতিমালার আওতায় একজন সরকারি কর্মচারী দেশের যে কোনো স্থানে গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণ নিতে পারবেন। সহনীয় ও পরিশোধযোগ্য সুদে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ঋণ সরকারি কর্মচারীদের দেয়া হবে। ঋণের প্রকৃত সুদের অবশিষ্ট অর্থ সরকার ভতুর্কি বাবদ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করবে। আশা করি, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর সরকারি সেবা প্রদানে কর্মচারীরা আরও উদ্যমী হবেন এবং সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পাঁচ শতাংশ সুদহারে গৃহঋণের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি। চূড়ান্ত নীতিমালার আওতায় জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ভেদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। এই ঋণের মোট সুদের হার ১০ শতাংশ।

তবে এই ১০ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার এবং বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ (ঋণ পরিশোধ শুরুর সময়) ২০ বছর মেয়াদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর