ঈদে রোগীদের খাদ্য নির্বাচন

ঈদে রোগীদের খাদ্য নির্বাচন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আসছে ঈদে আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে অনেকের অতিভোজন হয়ে যায়। মিষ্টি-মণ্ডা ও চর্বি থেকে এসবের বাহুল্য ঘটে সারদিনের খাওয়ায়। এতে শরীরের ওজন বাড়ে।  

অনেকে স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে ঈদে বেশি বেশি মাংস ও চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।

তবে উৎসবে রয়ে-সয়ে খেলে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

ঈদে গরু, খাসি ও অন্যান্য পশুর মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সমস্যা তাদের- যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে কিংবা যারা এসব রোগের প্রাক-পর্যায়ে রয়েছে।

পরিমিতি বোধ যেখানে রসনা সংবরণ করতে পারে, সেখানে আর ভয়ের কিছু নেই।

মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা গোশতের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে ভালোই থাকা যায়।  

সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। এছাড়া তরকারির ঝোল থেকে গোশত কিংবা সবজি আলাদা করে নিয়ে তা ডালে মেখে খেলেও চর্বির পরিমাণ কিছুটা কমে।

করোনারি হৃদরোগ, বিশেষ করে প্রবীণ ব্যক্তি- যাদের ইসকেমিক হৃদরোগ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের তৈলাক্ত মাংস খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। সারা বছর তারা খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে যে ধরনের নিয়ম-কানুন পালন করেন, ঈদের সময়ও এর ব্যতিক্রম করা ঠিক হবে না।  

ঈদে মাংস দু-একদিন খেলে যে শরীরের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে তা নয়। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যারা রয়েছে- বিশেষ করে করোনারি হৃদরোগী, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) রোগী, ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত রোগী, তাদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ঈদের সময় খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।  

স্থূলকায় শরীর যাদের, তাদের অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত ওজন পরীক্ষা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শরীরের উচ্চতা অনুপাতে স্বাভাবিক ওজন বেড়ে যাচ্ছে কিনা।

উৎসবের দিনগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ব্যায়াম কিন্তু চালিয়ে যেতেই হবে। এতে বাড়তি ক্যালোরি কিছুটা হলেও ঝরে পড়ার সুযোগ থাকবে।

ভোজে যাওয়ার আগে ফলাহার করে, এক মুঠ বাদাম খেয়ে বেরোলে তেমন অতিভোজন করতেই পারবেন না ভোজের টেবিলে। ব্যায়ামের কর্মসূচিতে বিরতি টানা একেবারেই অনুচিত হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, এমনকি ভ্রমণের সময়ও শরীর চর্চা চলবে।

এছাড়া প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভোজের সময় হাতের কাছে পানির বোতল থাকতেই হবে। শরবত, কোমল পানীয়, ড্রিংকস বর্জন করলে ভালো। এতে শরীরে অনাবশ্যক ক্যালোরি যোগ হবে।

মিষ্টি আর চকোলেটের প্যাকেট প্রিয়জনকে উপহার না দিয়ে ফল ও বাদামের প্যাকেট উপহার দিলে খুব ভালো হয়। এমন চর্চার শুরুটা হোক আপনাকে দিয়েই।  

ঈদ উৎসব সবার আনন্দে কাটুক, নিরাপদে কাটুক- এই কামনা।

টিপস: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর