‘এখানে সেমাই-পিঠাপুলি-নতুন কাপড় নেই, আছে একটু শান্তি’

‘এখানে সেমাই-পিঠাপুলি-নতুন কাপড় নেই, আছে একটু শান্তি’

ইসমত আরা ইসু • কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই অবাধ আনন্দ। তবে সেই আনন্দে গা ভাসাতে পাচ্ছেন না কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা।

যদিও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা ও সাহায্যকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সাথে নিয়ে এবারের ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে বদ্ধপরিকর।

১০ মাস আগে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন ১১ লাখেরও বেশি।

নিজ দেশে নিপীড়িত এই মানুষগুলোর শেষ ঈদ ছিলো গেল ঈদুল ফিতর। মায়ানমারে তারা নির্যাতনের শিকার হলেও জন্মভূমিতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ছিল আলাদা।  

এক রোহিঙ্গা আক্ষেপ করে বলেন, ‘এখানে সেমাই,পিঠাপুলি আর নতুন কাপড় নেই। কিন্তু আছে একটু শান্তি।

সেই শান্তিতেই এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন আমার মতো লাখো রোহিঙ্গা। ’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামাল হোসেন জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় খাবার,কাপড়, চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সরকার। সাথে আছে দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থাও। বাংলাদেশিরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিসি।

সে যােই হোক, মায়ানমারে পাশবিক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের শরীরের ক্ষত শুকালেও জন্মভূমিতে ঈদ উদযাপন করতে না পারার মানসিক ক্ষত যে কবে শুকাবে, সেটার উত্তর জানা নেই কারও।

ইসু/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর