রাঙামাটিতে ফের পাহাড় ধস

রাঙামাটিতে ফের পাহাড় ধস

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং অব্যাহত
ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে ফের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল। ধসে পড়েছে বেশকিছু বাড়ি ঘর। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে সরে যেতে বলা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের।  

রোববার মধ্যরাত থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একে এম মামুনুর রশিদ। এস ময় তিনি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নিদের্শ দেন।

 

ডিসি’র নির্দেশে রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী এলাকার ৬টি পরিবার বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাঙামাটি সেন্টারে ও রাঙাপানি এলাকার ৩টি পারিবার মানঘর ভাবনাকেন্দ্রে আশ্রয় নেয়।  

news24bd.tv

এদিকে, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শহরের নিরাপদ স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাবু তৈরি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গেল তিন দিন ধরে এখন পর্যন্ত টানা বর্ষণে রাঙামাটি শহরের ১২৮টি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫টি স্থানে সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। আছড়ে পড়েছে সড়কের পাথুরে পাটি। উপড়ে পড়েছে গাছ-পালা। ভেঙ্গে গেছে বহু বসতবাড়ি।  

শহরের রাঙামাটি চেম্বার অব কর্মাস ভবনের পাশ্ববর্তী সড়ক, সিনিয়র মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী দেয়াল ও চম্পকনগর এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের দেয়াল ধসে পড়েছে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি শহরের শালবাগান এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে সাময়কিভাবে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। একইসাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগও।  

রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার জানান, টানা বর্ষণে বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পরে সাময়কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তবে কাজ চলছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন জানান, ভারি বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে যায়। পাহাড় থেকে মাটি সড়কে জমা হয়। এছাড়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম-রাণীরহাট সড়কের ৩টি স্থান পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে যানবাহন চলাচলও সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। পরে সড়ক থেকে পানি সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  

news24bd.tv

এছাড়া শহরের আদালত ভবন, ঘাগড়া, সাপছড়ি, রাঙাপানি, পুলিশ লাইন্স এলাকায় সড়কের কিছু কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সড়ক বিভাগের লোকজন কাজ শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি কারণে মেরামত কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিদরুল আলম জানান, পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তৎপর রয়েছে। শহরের চম্পকনগর এলাকায় দেয়াল ধসে পড়ায় স্থানীয়দের এরই মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।  

 

মুমু/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর