গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার নামছে রাশিয়া ও সৌদি আরব। এটাই ঘটনাচক্রে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খেলা হবে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। রাশিয়া এই নিয়ে একাদশতমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামছে।
অন্যদিকে সৌদি নামছে পঞ্চমবার বিশ্বকাপের আসরে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা খুব একটা মধুর নয়। এর আগে চারবারের মধ্যে একবারই ১৯৯৪ সালে গ্রুপ স্টেজের বাধা টপকাতে পেরেছে সৌদি। অন্যদিকে রাশিয়া তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল ও একবার ১৯৬৬ সালে সেমিফাইনাল খেলেছে।
১৯৯৪ ২০০২ ও ২০১৪ সালে গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। এবার আয়োজক দেশ হিসাবে বিশ্বকাপ খেলছে রাশিয়া। স্বাগতিক দলে যে ২৩ জনকে বেছে নেয়া হয়েছে তারা সকাইই দেশের লিগের খেলেন। ফলে ঘরোয়া পরিবেশের সঙ্গে অত্যন্ত পরিচিত। গোল পোস্টে আকিনফিভ যেমন রয়েছেন তেমনই ডিফেন্সে গ্রানাট, সেমেনোভ, মিডফিল্ডে গোলোভিন, জিরকোভ সেমডোভ রয়েছেন। আর ফরওয়ার্ডে স্মোলোভ, মিরানচুকরা রয়েছেন।
ফরওয়ার্ডে আলেকজান্ডার কোরোরিনের না থাকাটা আয়োজক দেশের কাছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। চোটের জন্য তিনি খেলতে পারছেন না। একসময়ে চেলসিকে খেলা জিরকোভ ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে চলে এসেছেন। এখন দেশের মাঠে ভালো কিছু করে ফুটবলকে বিদায় জানাবেন। সবমিলিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে রাশিয়া দল অবশ্যই প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজেদের মেলে ধরতে চাইবে।
অন্যদিকে সৌদি আরব লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরবে না বলাই যায়। আল আবেদ, আল মুয়াল ও আল শেহরি এই তিনজনের উপরেই সৌদির সবচেয়ে বেশি ভরসা। আল আবেদ কোয়ালিফায়ার ম্যাচগুলোতে পাঁচটি গোল করে দলকে মূলপর্বে তুলেছেন। অন্যদিকে আল মুয়ালও দলকে ভরসা জুগিয়েছেন। এছাড়া আল শেহরির মাত্র ২৭ বছর বয়স হলেও দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফুটবলার তিনিই।
রাশিয়া ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজে ছিটকে গিয়েছিল। বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া ও আলজেরিয়ার সঙ্গে গ্রুপে ছিল রাশিয়া। এছাড়া ২০১৬ ইউরো কাপেও ভালো কিছু করতে পারেনি।
বস্তুত অবিভক্ত রাশিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯০ সালের পর থেকে রাশিয়ার বিশ্বকাপে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই বললেই চলে। অন্যদিকে সৌদি আরব যোগ্যতা অর্জন পর্বে কোনওমতে ২ গোলের পার্থক্য থাকায় অস্ট্রিয়াকে টপকে মূল পর্বে পৌঁছেছে। ফলে রাশিয়া একদিক থেকে অ্যাডভান্টেজে থাকবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)