স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু, গুরমিত রাম রহিম সিং, ফলাহারি বাবা এবং দাতি মহারাজের ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়ানো এবং ব্যাঙ্গাত্মকপূর্ণ মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্য জনসভায় নিজের পুরুষাঙ্গ কর্তন করলেন এক ধর্মগুরু। শুক্রবার ভারতের আলওয়ারের মন্ধন গ্রামের সেওয়াভালি ধাম আশ্রমে এ ঘটনাটি ঘটে।
সেখানেই ওই ধর্মগুরু তার ভক্তদের প্রবচন দিচ্ছিলেন। প্রবচনের মাঝেই ক্ষুব্ধ হয়ে ৪১ বছরের ধর্মগুরু নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে তা ছুড়ে ফেলে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশ্রমে জাগরণ চলছিল। এসময় গ্রামের মানুষ অনিল পুরোহিত নামে ওই ধর্মগুরুকে বিভিন্ন কটু কথা বলে বিব্রত করতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা ওই ধর্মগুরুর সামনেই ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত আসারাম বাপু, গুরমিত রাম রহিম সিং, ফলাহারি বাবা এবং দাতি মহারাজকে নিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত আইন তাদের যোগ্য শাস্তি দেবে। কিন্তু গ্রামের মানুষ কোনও কথা না শোনায় অনিল পুরোহিত রেগে যান। রাগের বশে তিনি প্রথমে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার হুমকিও দেন। তাতেও কোনো ফল না হওয়ায় তিনি সত্যি সত্যিই তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধর্মগুরু অনিল অজ্ঞান হয়ে যান। তাৎক্ষনিক তাকে নিয়ে যাওযা হয় নিকটর্তী হাসপাতালে। ’
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, অনিল পুরোহিত বেশ কিছুদিন ধরেই ধর্মগুরুদের নিয়ে এ ধরনের খবর শোনার পর চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তার আশ্রমেও বহু মানুষ আসেন। বিশেষ করে জাগরণের সময় অনেক ভক্তের সমাগম ঘটে। তাই তাকেও কোনও সময় যদি এ ধরনের অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়, তা নিয়েই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পরেন। তবে এ ধরনের কোনও কাজ করবেন তা কেউই ভাবতে পারেননি।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
