সিরিয়ায় ইরানকে প্রতিহত করা হবে: নেতানিয়াহু

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

সিরিয়ায় ইরানকে প্রতিহত করা হবে: নেতানিয়াহু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ইসরাইল-আমেরিকা ও সৌদি আরব সবসময়ই সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে মনে করেন। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অভিন্ন স্বার্থ টিকিয়ে রাখার জন্য তারা ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাক মাস্টার ইসরাইলের জন্য ইরানের হুমকির ব্যাপারে বলেছেন, আমরা ইসরাইল সীমান্তে ইরানের সেনা উপস্থিতি মেনে নেব না।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের সঙ্গে সাক্ষাতে বলেছিলেন, সিরিয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের নীতিতে আমরা পরিবর্তন এনেছি।

এখন আমাদের টার্গেট ওই দেশটিতে ইরানের উপস্থিতির অবসান ঘটানো।

নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরাইলের দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, আমরা ইসরাইল সীমান্তে হোক কিংবা সিরিয়ার অভ্যন্তরে হোক ইরানের সামরিক উপস্থিতিকে প্রতিহত করব। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছেন যখন সিরিয়ার কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন।

ইরানও বহুবার বলেছে, সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার জন্য সিরিয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই তারা সেদেশে সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে।

ইরাক ও সিরিয়ার সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং তাতে ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় ওই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসীদের পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতার মূল শেকড় এখনো উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। সন্ত্রাসীদের পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে প্রয়োজন সবার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে ইরান ভালোভাবেই অবহিত আছে। এ কারণে ইরান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় বড় সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ইরানের এ সাফল্য তিনটি অশুভ শক্তি অর্থাৎ আমেরিকা, ইসরাইল ও সৌদি আরবকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কারণ তারা ভালো করেই এটা বুঝতে পেরেছে সন্ত্রাসীরা যদি নির্মূল হয়ে যায় এবং মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা যে স্বপ্ন তেলআবিব, ওয়াশিংটন ও রিয়াদ দেখেছিল তা সম্পূর্ণ ভেস্তে যাবে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক কথাবার্তা আহত হায়নার আচরণের মতো যে কিনা টিকে থাকার জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। এ কারণে ইসরাইল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

যাইহোক, ইরান মনে করে অভিন্ন হুমকি মোকাবেলা এবং এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর