অজানা-অচেনা লোক ছাড়াও শিশুরা তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছেও এখন আর নিরাপদ নয়। তার প্রমাণ মিলল আবারও। ভারতের ছত্তিশগড়ে চার বছরের নাতনিকে ধর্ষণ করে খুন করে তারই আপন দাদু। হত্যার পর মরদেহ যেন কেউ খুঁজে না পায় সেজন্য লুকিয়ে রাখা হয় একটি নির্জন মাঠে।
লোমহর্শক এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় ষাট বছর বয়সের ওই দাদুকে। ১১ জুন ছত্তিশগড়ের কোন্ডাগাঁওয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।কোন্ডাগাঁওয়ের এসপি অভিষেক পল্লব জানিয়েছেন, পুলিশি জেরার মুখে ষাট বছর বয়সি ওই ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করেন। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, কারণ খুঁজে না পাওয়ার কারণ হলো ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না। এরপর ঘটনাস্থলে কুকুর এনে তদন্ত শুরু হয় পুলিশ। সেখান থেকে কুকুরটি একটি রক্ত মাখা লুঙ্গি উদ্ধার করে। সেই লুঙ্গির গন্ধ শুঁকে কুকুরটি সোজা চলে যায় শিশুটির দাদুর কাছে। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয় লম্পট দাদুকে। পরে জেরার মুখে অভিযুক্ত দাদু নিজের দোষ স্বীকার করেন। পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)