'নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার সুযোগ নেই'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

'নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার সুযোগ নেই'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার সুযোগ নেই।

গতবার বিএনপি সেই ট্রেন মিস করেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছিলেন, বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা আজও কানে বাজে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে ভালোবাসার কোনো স্থান নেই; রাজনীতি হচ্ছে- হিসাবের অঙ্ক। রাজনীতিতে করুণা করা, ভালোবাসা দেয়া, প্রেম করা— এগুলো নেই।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির নির্মম ও অরাজনৈতিক আচরণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করেছেন। সেদিনই বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা সংলাপ ও আলোচনা চায় না। এখন বিএনপি সংলাপ চাইলেও তার প্রয়োজন নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার তারা (আওয়ামী লীগ) খুব আত্মবিশ্বাসী। গতবারের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে কেউ পার পাবে না। কেউ যদি ২০০১ সালের রঙিন খোয়াব দেখতে চায়, তা আর সফল হবে না।

আওয়ামী লীগ চাচ্ছে বিএনপিবিহীন নির্বাচন, বিএনপির এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসলে কী চায়, আমরা সেটি জানতে চাই। বিএনপি কী চায়, সেটি বিএনপি নিজেরাও জানে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দল ও সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ দায়িত্ব পালন করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে। সামনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে চ্যালেঞ্জ আছে। ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত আছে। দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে তৎপরতা আছে। এসব মোকাবেলায় নেতাদের করণীয় বিষয়ে দলের বিশেষ বর্ধিতসভায় দিকনির্দেশনা দেবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিতে তিন দিনের নোটিশে বিশেষ বর্ধিতসভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার গণভবনে এই বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হবে। কাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করবেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কার্যালয়টি ঘুরে দেখার পর তিনি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের ৪ হাজার ১৫৭ নেতাকে নিয়ে বেলা ১১টায় গণভবনে একটি বর্ধিতসভা করবেন। এর পর ইউনিয়ন পর্যায়ের ১১ হাজার নেতাকে নিয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর