এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গা শনাক্ত

এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গা শনাক্ত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বানের স্রোতের মতো আসছে রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই মারাত্মক প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হাম, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস বি ও সি, এমনকি এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত রোগীও পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় বাংলাদেশ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

 

আক্রান্ত রোগীদের সবাই গত ২৫ আগস্টের পর সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভর্তি হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৪ জনের শরীরে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে হামে আক্রান্ত ৩ শিশু উখিয়ায়, হেপাটাইটিস বি ও সিতে আক্রান্ত ৫ জন টেকনাফে এবং এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি কক্সবাজারে। এছাড়া যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৫ জন টেকনাফ ও কক্সবাজারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের শরীরে এসব রোগ পাওয়া গেছে। সেক্ষেত্রে যারা হাসপাতালে ভর্তি হননি তাদের মধ্যেও এসব রোগের প্রাদুর্ভাব থাকাটাই স্বাভাবিক। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী এসব রোগের বিস্তার ঘটতে পারে।

এদিকে টেকনাফ ও উখিয়ার সব রোহিঙ্গা শিশুকে হাম ও পোলিও টিকা দেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার (আজ) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এদিকে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৬ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১১২ রোহিঙ্গা রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ জন গুলিবিদ্ধ ও আগুনে পোড়া। বাকিদের কেউ পেট ও বুকে ব্যথা, জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছে।  

চট্টগ্রাম বিভাগে এইচআইভি-আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা দেয় বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি। সোসাইটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অধীনে এখন এইচআইভি-আক্রান্ত ৫০৮ জন রোগী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জন রোহিঙ্গা বলে জানান সোসাইটির কর্মকর্তারা। অবশ্য এসব রোহিঙ্গা কয়েক বছর আগে এসেছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত বুধবার কক্সবাজারে একজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছেন।

সম্পর্কিত খবর