এক নজরে মিয়ানমারের সমরাস্ত্র

এক নজরে মিয়ানমারের সমরাস্ত্র

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সেনা অভিযানে নৃশংসতা ও দমন পীড়নে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনা ঘটেই চলছে। অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দমনের নামে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে’ সাধারণ ও নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নাগরিক হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র।

পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর কাছে কী ধরণের অস্ত্র আছে, কিংবা দেশটি সামরিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা নিয়েও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সশস্ত্র বাহিনীর নাম টাটমাডো
দ্য মিলিটারি অব মিয়ানমারের অফিসিয়াল নাম টাটমাডো।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ বাহিনীর শাখা হচ্ছে আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্স। সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগী বাহিনী দু’টি। একটি মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স। অন্যটি পিপলস মিলিশিয়া ইউনিটস অ্যান্ড ফ্রন্টিয়ার ফোর্স।
স্থানীয়ভাবে এটি নাসাকা নামে পরিচিত। নাসাকা মিয়ানমারের সীমান্ত প্রহরার কাজে নিয়োজিত থাকলেও দেশের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনে এ পাঁচ বাহিনীর যেকোনো বাহিনী যেকোনো কাজ করে থাকে।  

মোট সৈন্য সাড়ে পাঁচ লাখ
মিয়ানমারের মোট সৈন্য পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার। এ সংখ্যা বিশ্বে ২৬তম। এর মধ্যে চার লাখ ৯২ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। বাকি ৭২ হাজার আধাসামরিক বাহিনী বা নাসাকার সদস্য। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে মিয়ানমারের র‌্যাঙ্ক নবম। আর আধাসামরিক বাহিনী ২৬তম।  

একনজরে টাটমাডো

শাখা : মিয়ানমার আর্মি, মিয়ানমার নেভি, মিয়ানমার এয়ার ফোর্স
সহযোগী শাখা : মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স, মিয়ানমার ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (নাসাকা)
আর্মড ফোর্সেস : ৪,৯২,০০০ জন
অ্যাকটিভ সৈন্য : ৪,৯২,০০০ জন
আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য : ৭২,০০০ জন
মোট সৈন্য : ৫,৬৪,২৫০ জন
বার্ষিক বাজেট : ৭.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০০৫)
ব্যাটের ট্যাঙ্ক : ১৫০
এলটি ট্যাঙ্ক : ১০৫
এপিসি : ৩২৫
টুয়ার্ড আর্টিলারি : ২৭৮
মর্টার : ৮০
এ এ গান : ৪৬
কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট : ১২৫
ফাইটার গ্র্যাউন্ড অ্যাটাক : ২২
ফাইটার : ৫৮
পরিবহন বিমান : ১৫
হেলিকপ্টার : ৬৬
করভেটস : ৪
মিসাইল : ১১
টর্পেডো : ১৩
ইনসোর রিভারইন : ৪৭
ল্যান্ডিং ক্র্যাফট : ১১

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। যার মধ্যে আছে ফাইটার, গ্রাউন্ড অ্যাটাক ও ট্রান্সপোর্ট, ট্যাঙ্ক, আরমার্ড মোটরযান, নৌবহর ও এয়ার মিসাইল। চীন মিয়ানমারে পাকা রাস্তা, রেললাইন স্থাপন করে দিয়েছে ও বিনিময়ে মিয়ানমারে তাদের মিলিটারি ট্রুপসের প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে।

ইন্ডিয়ান প্রতিরা সূত্র মতে, চীন মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি কেন্দ্র স্থাপন করেছে ও ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নৌ ঘাঁটি নির্মাণ করছে।  

সূত্র: ইন্টারনেট

সম্পর্কিত খবর