হাসপাতালে পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা যুবকের ধস্তাধস্তি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা

হাসপাতালে পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা যুবকের ধস্তাধস্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি আহত রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল্লাহ পুলিশকে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা তাকে হিন্দি ভাষায় বোঝাতে চেষ্টা করেন এসব পুলিশ সদস্য বাংলাদেশি। এরা মুসলিম। ওরা (পুলিশ) তোমার উপকার করতে এসেছেন।

কিন্তু কিছুতেই মানতে নারাজ। পুলিশ সদস্যদের বিধর্মী বার্মার লোক মনে করে হাসপাতালে ধস্তাধস্তি শুরু করেন তিনি। হিন্দি ভাষায় পুলিশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে তোমরা মুসলিম না। তোমরা আমাকে মেরে ফেলবে।
এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে বোঝতে সক্ষম হয় এই পুলিশ সদস্যরা মুসলিম।

রবিবার দুপুরে হাসপাতালে রোহিঙ্গা যুবকের সঙ্গে পুলিশের এই কথপোকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

সেখানে দেখা যায় হিন্দি ভাষায় পুলিশকে রোহিঙ্গা যুবক আবদুল্লাহ জানায়, তার ছোট বোনকে তার চোখের সামনে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। মাকে ফ্যানের সাথে ঝুঁলিয়ে দু'টুকরো করা হয়েছে। পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তাকেও গলা কেটে হতার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হয়েছে।  

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শাহীন পারভেজ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই যুবককে আটকের পরে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রবিবার দুপুরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়। আটককৃত ওই রোহিঙ্গা যুবকের নাম আব্দুল্লাহ। তার পিতার নাম সোলেমান। রোহিঙ্গা ওই যুবকটি বেনাপোল ঘুরে ট্রেনযোগে নারায়ণগঞ্জে এসে পৌঁছে। সে শহরের খানপুর এলাকায় ঘোরাফেরাকালে তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে। পরে সে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে এসেছে বলে জানায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। সে পুলিশ দেখলেই ভয়ে আতঁকে উঠছে। রাতে তাকে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরে রবিবার দুপুরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে প্রেরণ করা হয়েছে।  

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন জানান, শনিবার আমরা শহরের খানপুর থেকে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছি। রোহিঙ্গাদের অবস্থানের জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে তারা দেশীয়-আন্তজার্তিক ত্রাণ সহযোগিতাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবাও পাচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে আপনাদের আশপাশে রোহিঙ্গাদের সন্ধান পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। ’

সম্পর্কিত খবর