জায়গা পেতে মরিয়া রোহিঙ্গারা, ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা [ভিডিও]

জায়গা পেতে মরিয়া রোহিঙ্গারা, ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা [ভিডিও]

নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রতিবেদন

রোহিঙ্গা নিয়ে নতুন সংকটে বাংলাদেশ। বানের স্রোতের মতো আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুরনো ক্যাম্প, সরকারি বরাদ্দ, রাস্তা-ঘাট, খেলার মাঠ সব এখন কানায় কানায় পূর্ণ। ফলে নতুন আসা রোহিঙ্গারা জায়গা পেতে কাটতে শুরু করেছে পাহাড় ও বনাঞ্চল।

মাথা গোজার ঠাঁই পেতে এখন মরিয়া তারা, হামলা করতেও শুরু করেছে স্থানীয়দের ওপর। স্থানীয়রা বলছেন, এখনই নিয়ন্ত্রন করা না গেলে ভবিষ্যতে পুরো এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

স্বার্থান্বেষী একটি মহলের সহযোগিতায় উখিয়ার গোয়ালমারা গ্রামে বন বিভাগের জমি দখলের সময় স্থানীয়দের সাথে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

 

আহাজারি করছিলেন উখিয়ার খালেদা বেগম। বলেন, রোহিঙ্গাদের হামলায় তার দেবরের একটা চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া তাদের তিন-চারটা গরু নিয়ে গেছে। খালেদা জানান, সামাজিক বনায়নের আওতায় তার ঘরের পাশে পাহাড়ে রোপন করেছিলেন ৪০ হাজার গাছের চারা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একদল রোহিঙ্গা সেই পাহাড়ের দখল নিতে চাইলে শুরু হয় সংঘর্ষ।  

এলাকাবাসীর মতে, উখিয়ায় স্থানীয় মানুষের সংখ্যা দেড় লাখ। সেখানে রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রথমে মানবিক কারণে তাদের সহযোগিতা করলেও যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। এই পরিমান রোহিঙ্গাকে থাকতে দেওয়ার মতো জায়গা উখিয়াতে নেই। দখল হয়ে গেছে খেলার মাঠ, খোলা জায়গা, সড়ক। রোহিঙ্গারা এখন যেখানেই জায়গা দেখছে সেখানেই দখল করে বাসস্থান নির্মানের চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় স্থানীয়দের লাগানো গাছপালাও কেটে ফেলা হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তারা ছড়িয়ে পড়ছে পাহাড়ে পাহাড়ে। পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করছে।  

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, নতুন আসা রোহিঙ্গাদেরকে জায়গা দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী, যাদের অনেকেই কয়েক দশক আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা।  

টিলার উপরে গিয়ে দেখা যায়, গাছ কেটে ঘর বানাতে ব্যস্ত নতুন আসা রোহিঙ্গারা। তারা বলেন, রাস্তা-ঘাটে এখন আর থাকার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়েই পাহাড় কাটতে হচ্ছে।  

স্থানীয়রা বলছেন, জায়গা পেতে রোহিঙ্গারা এখন মরিয়া। এ কারণে মাঝেমধ্যেই স্থাণীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথাও তারা শুনছে না। এখনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা বড় আকার ধারণ করবে।

বনবিভাগের গাছ কাটা প্রসঙ্গে সংঘর্ষের সময় উপস্থিত উখিয়ার থ্যায়িংখালী বন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, রোহিঙ্গা স্রোতের সামনে তার দু'-চারজনের বাহিনী একেবারেই অসহায়। তিনি বলেন, ''আমরা তো যথাসাধ্য চেষ্টা করি। কিন্তু, না পারলে কী করব? আমরা তো মারামারি করতে পারবো না। আমিসহ এখানে বনবিভাগের লোক মোট চারজন। ''

বিস্তারিত দেখুন  Esmat Ara Issu কে সঙ্গে নিয়ে Ramim Hasan এর ভিডিও প্রতিবেদনে-

সম্পর্কিত খবর