তিনি রোহিঙ্গা নন!

সংগৃহীত ছবি

তিনি রোহিঙ্গা নন!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:

নিজেকে রোহিঙ্গা পরিচয় দিয়ে নিজের নাম বলেছিলেন আবদুল্লাহ। বাবার নাম সোলেমান। ভাঙা ভাঙা হিন্দি আর বাংলায় কথা বলছিলেন। পুলিশকে দেখিয়েছিলেন হাতে-পায়ে আঘাতের চিহ্ন।

জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারে তাঁর ছোট বোন ও মাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পালিয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জে। সেই মোতাবেক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ পাহারায় তাকে নেওয়া হচ্ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে। গণমাধ্যমে আসা ছবি দেখে পরিবার ছুটে যায়।
ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয় থানায়। পুলিশও তড়িঘড়ি মাঝপথ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনে।

পুলিশ বলছে, যুবকের আসল নাম মাহবুব। বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকায়। বাবার নাম মোক্তার হোসেন। পরিবার জানিয়েছে, যুবকটি মানসিকভাবে অসুস্থ।

গত শনিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকা থেকে সন্দেহজনক ঘোরাফেরার কারণে মাহবুবকে (২৬) আটক করে পুলিশ।  গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাঁকে শরণার্থীশিবিরের উদ্দেশে পাঠানো হয়।

মাহবুবের বাবা মোক্তার হোসেনের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন পারভেজ বলেন  প্রাচীর থেকে পড়ে তাঁর বাঁ পা ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন মাহবুব ভারতীয় চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর আগে মাহবুব বরিশালে গিয়ে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় মামলা হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাঁর বাবা খবর পেয়ে জামিন করিয়ে নিয়ে আসেন।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর