সাতক্ষীরায় হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ৩০ জন জেল হাজতে

প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরায় হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ৩০ জন জেল হাজতে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

গভীর নলকুপের পানি বিতরণ নিয়ে কলেজ ছাত্র হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৩০জন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে হাজিরা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -২ আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামি ২৩ জুলাই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের ইনতাজ সরদারের ছেলে নিজামউদ্দিন সরদার, তার ভাই খায়রুল্লাহ সরদার ও তাদের ভগ্নিপতি কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের তাজুল সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের একটি গভীর নলকুপের সুপেয় পানি কার্ডের মাধ্যমে সরকারিভাবে কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

২০১৪ সালের ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে পানি বিতরণ নিয়ে আশাশুনির বাঁকড়া গ্রামের পানি বিতরণ কমিটির সভাপতি আলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলিমুদ্দিন সরদার বাদি হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক লুৎফর রহমান ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্টে এ মামলার ৩৫ জন আসামির জামিন আদেশ খারিজ হলেও ১১ জানুয়ারি জামিন সংক্রান্ত এক ভুয়া আদেশে আসামিরা জামিন লাভ করার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিষ্টার আবু মো. সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগ থানায় ৩৫জন আসমিসহ তাদের নিযুক্তীয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক হাসানুজ্জামান ও আনোয়ারুল ইসলামের হাত ঘুরে বর্তমানে দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মানষী বিশ্বাসের কাছে তদন্তাধীন।

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ৩৫জন আসামির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। বাদি, পুলিশ ও ডাক্তারসহ ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কাজ শেষে আগামি ২৩ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, অ্যাডভোকেট জিএম লুৎফর রহমান, অ্যাডভোকেট অজয় কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম পিণ্টু প্রমুখ।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এসএম হায়দার আলী, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট নিজামউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জুহুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনিরউদ্দিন প্রমুখ।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর