‘প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠে নামতে পারছেন না’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

‘প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠে নামতে পারছেন না’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একার পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করা সম্ভব হবে না।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  

‘খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের অপকৌশল বন্ধের দাবিতে’ এ সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।

জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই দাবি করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার যেখানে পর্যবসিত, সেখানে জাতীয় ঐক্য দরকার।

বাংলাদেশের জাতীয় নেতারা আছেন। আমি আশা করি তারা বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যের পথে আসবেন। যদি জাতীয় ঐক্য হয় তাহলে সরকার টিকে থাকার পথ থাকবে না। জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একার পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, দেশে গণতন্ত্র কায়েমের জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রাজপথ উত্তপ্ত করা। আসুন আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের  অধিকার আদায় করি।

‘আমি যেটা মনে করি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠেছেন। তিনি বাঘের পিঠ থেকে নামতে পারছেন না। শেষ পরিণতি কী হবে আমরা জানি না। তবে একদিন চলে যেতে হবে, সারা বাংলাদেশের মানুষের শক্তি, ২০ দলীয় জোটের শক্তি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শক্তি এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা তাকে বেসামাল করে দিয়েছে। আর তা যদি না হতো, খালেদা জিয়াকে দেশের মাটিতে একটি নির্জন কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হতো না। মানসিকভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার জন্য একটি পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। ’

আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছা তাই করছে দাবি করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বারবার আমরা চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু সরকার গো ধরেছে, তারা তাদের পছন্দমত হাসপাতালে চিকিৎসা করাবে। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
 

সম্পর্কিত খবর