২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ

২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইটের ব্যবহার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্মাণকাজে পোড়া ইটের ব্যবহার ২০২০ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আজ (৭ জুলাই) ‘পোড়ানো ইটের বিকল্প বিষয়ে সহায়ক নীতি-নির্ধারণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাডেমিক কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রোমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদেশের ব্যানারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি জমি নষ্ট করে শুধু ইট ভাটা নয়, শিল্প কারখানাও স্থাপন বা বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা যাবে না।

এ জন্য সরকার নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ আইন প্রণয়ন হলে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। ’

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘ইট তৈরি করতে গিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি নষ্ট করে ফেলা যাচ্ছে। এতে কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে এবং উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে দেশ ভবিষ্যতে খাদ্য সঙ্কটে পড়বে। সরকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করেছে। সংশোধিত এ বিধিমালায় পোড়া ইটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নির্মাণকাজে পোড়া ইটের ব্যবহার ২০২০ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। ’

news24bd.tv

পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক উদ্ভাবন করেছে। পোড়া ইটের চেয়ে এ ব্লক অধিক সাশ্রয়ী এবং টেকসই বলেও জানান মন্ত্রী।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার কৃষি জমি সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোনো কৃষি জমি নষ্ট করা হয়নি। অথচ মিরসরাই এলাকায় অনেক বড় বড় শিল্প মালিকরা কৃষি জমি কিনে শিল্প কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো স্থাপনে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। কৃষি জমি সুরক্ষায় সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লকের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করতে হবে। ’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইচ এশিয়া, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বেলা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম বাংলাদেশ এ সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে।

দিনব্যাপী এ সেমিনারে আয়োজক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউকসহ বিভিন্ন সরকারি-সেবরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বুয়েটের গ্রিন আর্কিটেকচার সেলের সমন্বয়ক মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, এইচবিআরআই পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এম বি আখতার প্রমুখ।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর