জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের মধ্যে যৌন অপরাধ নির্মূলে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সংক্রান্ত ভিকটিম সাপোর্ট ফান্ডে ১ লাখ ডলার প্রতীকী চাঁদার ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সদস্য ও পুলিশ সদস্য নিয়োগকারী হিসেবে আমরা যৌন নির্যাতন ও অপরাধ বন্ধের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করি। এ অভিযোগে আমাদের অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে যৌন নির্যাতন ও অপরাধ দমন শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োগের আগে প্রশিক্ষণে যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকে একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যৌন অপরাধের অভিযোগে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের দেওয়া হয়েছে। তারা মিশন এলাকায় যেকোনও অভিযোগের তদন্ত ও বিচার করতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং জনগণের ধর্ম, সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় শান্তিরক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে অনুসরণীয় (টেন্ডসেটার) হয়ে উঠেছে। ১৩২ জন বীর সন্তানের আত্মত্যাগের মাধ্যমে শান্তিরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সভাপতি মিরসলভ লাজকাকও বক্তৃতা করেন। নারী নির্যাতন সম্পর্কিত অপরাধ দমনের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। সূত্র: বাসস।