গুজব লবনের মতোই উপভোগ করি: জয়া

জয়া আহসান।

গুজব লবনের মতোই উপভোগ করি: জয়া

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। খোঁচাও সইতে সইতে বিরক্ত হয়ে পরেছেন এ অভিনেত্রী। এতে মানসিকভাবে আহত হয়ে প্রতিবাদ না জানিয়ে পারলেন না জয়া। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখলেন এক দীর্ঘ প্রতিবাদ।

জয়া লিখেছেন, ইদানিং কিছু বিষয় আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি পত্রিকা, উইকিপিডিয়ার তথ্যসূত্র টেনে আমার বয়স নিয়েও বেশ চর্চা করছে।  

বহু পুরস্কার জয়ী এ অভিনেত্রী বলেন, বলা হচ্ছে, আমার বয়স নাকি ৪৬! গুজব-গুঞ্জন আমি বরাবরই খাবারের লবনের মতো উপভোগ করে গিয়েছি। দু-একজন সমবয়সী কিংবা আমার চেয়ে বয়সে বড় শ্রদ্ধাভাজন সহকর্মী (বিশেষ করে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী) গণমাধ্যমে নিজেদের অধিকার মনে করে আমার বয়স (ভুল তথ্য) নিয়ে চর্চা করেছে-বিষয়টি মজার।

তাই এতদিন উপভোগ করেই গিয়েছি।

তিনি বলেন, সম্ভবত আমার চুপ থাকাটাকে অনেকে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। নিন্দুকেরাও অস্ত্র হিসেবে আমার বয়সের ভুল তথ্য প্রচার করে আনন্দ পাচ্ছেন।

দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি প্রথম ও শেষবারের মত সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই: বয়স নয়। একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজে। ৪৬ কিংবা ৫৬ কিংবা তার চেয়েও বেশি বয়স হলেই অভিনেত্রীরা কাজের অযোগ্য কিংবা তারুণ্যদীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না-এমন ধারণা বিশ্বের কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই পোষণ করেন না।

সকলকে হেয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তাই ব্যক্তি জয়া আহসানের যে বয়স, তা নিয়ে আমি এতটুকু বিচলিত নই। তবে ভুল তথ্য প্রচার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার উদ্দেশ্যে অনুরোধ করছি। বিশেষ করে আমার কাজ যারা পছন্দ করেন, দায়িত্বশীল যেসব সাংবাদিক আমাকে নিয়ে দু কলম লিখবার মত যোগ্য মনে করেন, তারা ভবিষ্যতে বিষয়টি সংবেদনশীলভাবে দেখবেন বলেই আশা করছি।

জয়া আরও বলেন, প্রকৃত সত্য হলো, ৪৬ বছর আগে আমার বাবা-মা’র বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি। এতদিন বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তবে ইদানিং বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের অনুরোধে লিখতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরবার আগে নূন্যতম একবার তার সাথে কথা বলা উচিত। কারণ শুধু বয়স ভুলের তথ্যই নয়, বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার আরও দুই বোন ও এক ভাই রয়েছে (প্রকৃত তথ্য: আমরা দুই বোন ও এক ভাই)।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর