'মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা রাখতেই হবে'

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তনের সুযোগ নেই: মন্ত্রী

'মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা রাখতেই হবে'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখতেই হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দিতে হলে সরকারকে আগে ওই উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করে রায় পক্ষে পেতে হবে।

‘চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কার্যক্রম’ নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগের এক আদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে তা পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হলেও ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে।

'তাই এ আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপক্ষো করে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা করা হলে আদালত অবমাননার শামিল হবে বলে আমি মনে করি। '

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মোট ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রয়েছে ৩০ শতাংশ পদ।

কোটার মোট পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না।

এর ধারাবাহিকতায় গত ২ জুলাই সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে বলে। ওই কমিটি গত ৮ মে তাদের প্রথম বৈঠকে কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি কোটার বিষয়ে দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা বা সংস্কার বা বাতিলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের যৌক্তিকতাসহ সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এই কমিটি।

কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকায় আদালতের আদেশে যতক্ষণ না পরিবর্তন আসছে, ততক্ষণ এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই।

'আদালতে ভ্যাকেট করাতে হবে। সরকার আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন করলে আদালত যদি রায় দেয় তবেই পারবে। এই আদেশ বহাল থাকা পর্যন্ত (মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তনের) কোনো সুযোগ নাই। '

.............................................................................
আরও পড়ুন:  অক্টোবরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল

.............................................................................

আদালতের রায়ের কপি বুধবার কোটা পর্যালোচনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, সরকারের ওই কমিটি ‘সচেতনতার সঙ্গে’ সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা আশা করছেন।

তবে কোটা পর্যালোচনা কমিটি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদে অন্য কোটায় পরির্বতন আনার সুপারিশ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

অন্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার সংবাদ সম্মেলনে ‍উপস্থিত ছিলেন।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর