জামিনে বেরিয়ে ১০০ মোটরসাইকেল চুরি!

সংগৃহীত ছবি

জামিনে বেরিয়ে ১০০ মোটরসাইকেল চুরি!

অনলাইন ডেস্ক

কখনো মিল্টন সরকার, কখনো মিল্টন কুমার সাহা, আবার কখনো মোহাম্মদ সোহেল। কখনো মাথায় টুপি ও গায়ে পাঞ্জাবি পরে মুসল্লির বেশে, আবার কখনো ঘুরে বেড়াতেন তরুণের সাজে। এতো নাম ও বিশেষণে যার পরিচয়, তিনি আসলে পেশাদার মোটরসাইকেল চোর চক্রের নেতা। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে ২২টি মামলা।

গিয়েছেন একাধিকবার জেলে। এরপরও ছাড়েননি মোটরসাইকেল চুরি।

গত শুক্রবার ও শনিবার টানা দু’দিন চট্টগ্রাম নগর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে নগরের আকবরশাহ থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলেন- মেহেদী হাসান, মামুন আলম, জালাল উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন ও মহিন উদ্দিন সুমন।

পুলিশ জানায়, মিল্টনসহ দুই দলনেতা পাঁচ মাস আগে জেল থেকে জামিনে বের হন। এরপর তারা আবারো শুরু করেন মোটরসাইকেল চুরি। গত চার মাসে তাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগরীতে ঘটেছে অন্তত একশ’ মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা।

আকবরশাহ থানার ওসি মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, গত ২৬ এপ্রিল আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। সেই মোটরসাইকেলটির খোঁজ করতে গিয়ে বিভিন্নসূত্রে এ চোর চক্রের সন্ধান পাই। এরপর থানার সিডিএ এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে কুমিল্লা থেকে আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

ওসি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে মিল্টন ও মেহেদী দলনেতা। বাকিরা তাদের অধীনে কাজ করতেন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মেহেদীর নিজস্ব গ্যারেজ আছে। মোটরসাইকেল চুরির পর সেই গ্যারেজে নেয়া হতো। সেখানেই গাড়ির রঙ, তেলের ট্যাঙ্কি পরিবর্তন এবং ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর ঘষামাজা করে মামুনের কাছে বিক্রির জন্য দেয়া হতো।

ওয়ালী উদ্দিন আকবর আরো বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে। এছাড়া মেহেদীর বিরুদ্ধে ১৩টি ও মামুনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার অধিকাংশই মোটরসাইকেল চুরির। একাধিক মামলায় একই সঙ্গে আসামি মিল্টন ও মেহেদী। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/আলী