'বীরাঙ্গনা ছাড়া নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধন বন্ধ'

আ ক ম মোজাম্মেল হক

'বীরাঙ্গনা ছাড়া নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা নিবন্ধন বন্ধ'

শাহনাজ ইয়াসমিন

গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধার আবেদন নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুধুমাত্র বীরাঙ্গনা ছাড়া অন্য ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভুক্তির আবেদন আর নেবে না সরকার। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এদিকে, এবারের বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বোনাস পরিমাণ বাড়ছে বলে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আর জুন মাসের মধ্যে ১ লাখ ৮৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ডিজিটাল কার্ড। যা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে বলেও জানান মন্ত্রী।  

মহান মুক্তিযদ্ধে রণাঙ্গণের বীরদের পুর্ণাঙ্গ এবং সঠিক তালিকার কাজ প্রায় শেষ করেছে সরকার। ১ লাখ ৮৭ হাজার জনকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা করতে কেটে গেছে ৬ বছর।

বিভিন্ন মামলায় ঝুলে আছে আরও পাচ হাজারের মত নাম।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য নতুন করে আর আবেদন নিবে না সরকার। শুধুমাত্র বীরঙ্গনা হিসেবে কেউ আবেদন করতে পারবেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুনভাবে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। পুরাতন যেগুলো আপিল ছিল এবং চলমান আছে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে।

তিনি বলেন, বীরঙ্গনা ব্যাপারটা খুবই সেন্সেটিভ ব্যাপার। পুরুষতান্ত্রিক দেশ বা সমাজ বলে কেউ এই ব্যাপারে বলতে সাহস পাচ্ছেন না, সে কারণে আমরা ওপেন রেখেছি যদি কেউ সাহস করে আবেদন করেন।  

মন্ত্রী বলেন, জুন মাসেই এক লাখ ৮৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল কার্ড দেয়া হবে। বাড়ানো হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বোনাসের পরিমাণ। এখন মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় দিবসে ৫ হাজার এবং পহেলা বৈশাখে দুই হাজার টাকা বোনাস পান। এবারের বাজেটে তাদের জন্য স্বাধীনতা দিবসেও বোনাসের সিদ্ধান্ত আসছে। তিনটি বোনাসের পরিমাণই হবে ১০ হাজার টাকা।  

মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বোনাসের পরিমাণ যেটা আগে পাঁচ হাজার ছিলো সেটা দশ হাজার করা হবে। এছাড়া বেশ কিছু ক্ষেত্রে তারা সুবিধা পাবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এই বাজেটে আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।  

মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যয়ও আরও বাড়ানো হবে বলে জানালেন মন্ত্রী। এখন তারা ঢাকার ২২টি হাসপাতালে বছরে ৭৫ হাজার টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করতে পারেন। এর পরিমাণ আরও বাড়বে এবং জেলা এবং উপজেলা হাসপাতালেও তাদের জন্য চিকিৎসার সুযোগ রাখা হবে।

news24bd.tv/রিমু