'সভা-সমাবেশে কেউ অরাজকতা করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ'

ফাইল ছবি

'সভা-সমাবেশে কেউ অরাজকতা করার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ'

শাহনাজ ইয়াসমিন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশ করার অধিকার আছে। কিন্তু সভা-সমাবেশে কেউ অরাজকতা করার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা, অবশ্যই প্রতিরোধ করবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনবার্সন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রদলের সমাবেশে হামলা হয়েছে বলে মির্জা ফখরুল যা বলেছেন তা রাজনৈতিক বক্তব্য, এসব কথার কোনো ভিত্তি নাই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের ক্ষেত্রে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলো এখনও অনেকটা অরক্ষিত রয়ে গেছে। সেসব জায়গা দিয়ে মাদক আসে।

সেগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছে সরকার। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। মাদকের সরবরাহ বন্ধ করা না গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। এটা বন্ধ করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। সরকার সেটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, শর্ত মেনে কেউ লাইসেন্স নিতে চাইলে মদের লাইসেন্সেের পরিধি বাড়ানো হবে। এক্ষেত্রে নতুন হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব তারা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের শর্ত মানলে মদের লাইসেন্স নিতে পারবে।

মাদকাসক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ মাদকাসক্ত হলে জীবনের সব কিছু হারিয়ে ফেলে। তাই মাদক প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা আছে। মাদকের চাহিদা নিরসন ও সাপ্লাই বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে আলাপ আলোচনার কারণে ফেন্সিডিলের সাপ্লাই কমেছে। তবে ভয়ংকরভাবে ইয়াবা আসছে। তরুণরা এতে বেশি আসক্ত হচ্ছে। সমাজের সবাইকে নিয়েই মাদক প্রতিরোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৬২টি মাদক নিরাময় কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো মান সম্পন্ন নয়। তবে কিছু নিরাময় কেন্দ্র বেশ ভাল কাজ করছে।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, আহসানিয়া মিশন, আপন, মুক্তি, প্রমিসেস, রিলাইফ, ক্রীড়া, সেফহোম, বিকন, আমার হোম, ঘেরা, বারাকা, ইয়ুথ ফার্স্ট, প্রয়াস প্রভৃতি।

news24bd.tv/রিমু