টিকটকে পরিচয়-প্রেম, ধর্ষণের পর তরুণীকে ভারতে পাচার

সংগৃহীত ছবি

টিকটকে পরিচয়-প্রেম, ধর্ষণের পর তরুণীকে ভারতে পাচার

অনলাইন ডেস্ক

টিকটক-ফেসবুকে পরিচয়, এক পর্যায়ে প্রেম। অতঃপর বিয়ে করে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভারতে পাচার করেন সোহেল। এ ঘটনায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। সম্প্রতি ঘটনার মূল হোতা সোহেলকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার সকালে মৌলভিবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, ২১ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সোহেলসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী ঐ তরুণী। পরদিন (২২ মে) ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কমান্ডার নাহিদ হাসান এক ব্রিফিংয়ে জানান, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে ৩ বছর আগে পরিচয় হয় পাবনার সাথিয়া উপজেলার রুকশিপাড়ার ঐ তরুণীর।

এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রতারক প্রেমিক সোহেল গত বছরের মার্চে ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে যায় ভারতের কলকাতায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে কৌশলে দেশে আসেন নির্যাতিতা তরুণী। এরপর সোহেলও দেশে এসে ঐ তরুণীকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর প্রলোভন দেখিয়ে আবারো তাকে পাটগ্রামের সহযোগীদের নিয়ে ভারতে পাচার করে। পরে সহযোগীদের নিয়ে ঐ নারীকে গণধর্ষণ করে। এক সপ্তাহ পর কৌশলে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন ঐ তরুণী। পরে সোহেলকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

news24bd.tv/আলী