মোংলায় ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ, যোগ দেবে মহড়ায়

সংগৃহীত ছবি

মোংলায় ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ, যোগ দেবে মহড়ায়

অনলাইন ডেস্ক

যৌথ টহল শেষে সমুদ্র মহড়ায় যোগ দিতে মোংলায় পৌঁছেছে ভারতের দুটি যুদ্ধ জাহাজ। মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকাল ৪টায় জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। জাহাজ দুটি হলো- ‘মিসাইল করভেট আইএনএস কোরা’ ও ‘অফশোর পেট্রোল ভেসেল আইএনএস সুমেধা’।  এসময় জাহাজ দু’টিকে খুলনা নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

রোববার ও সোমবার বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় দুই দেশের নৌ বাহিনীর জাহাজ যৌথ টহলে অংশ নেয়। আগামী শুক্রবার (২৭ মে) এ মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যৌথ এ টহলের এর নাম দেয়া হয়েছে করপ্যাট এবং দ্বিপাক্ষিক মহড়ার নাম দিয়েছে বঙ্গোসাগর।

কোঅর্ডিনেটেড প্যাট্রোল(করপ্যাট)  হল দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে একটি বার্ষিক মহড়া যাতে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক অপরাধ মোকাবেলায় সামুদ্রিক অভিযান পরিচালনা করার সময় আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়ানো যায়। উভয় দেশের মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফ্ট কোঅর্ডিনেটেড প্যাট্রোল এ অংশ নেয়।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় দুই দেশের নৌবাহিনীর চতুর্থবারের মতো হতে যাওয়া যৌথ টহল ‘করপ্যাট’ ও দ্বিপাক্ষিক মহড়ায় যোগ দেবে জাহাজ দুটি।

মোংলা নৌঘাঁটি সূত্র জানায়, জাহাজ দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছালে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ‘আবু উবায়দা’ ও ‘আলী হায়দার’ মোংলা বন্দরের জেটিতে নিয়ে আসে। ‘মিসাইল করভেট আইএনএস কোরার’ ১৪ কর্মকর্তাসহ ১২১ জন নাবিকের নেতৃত্বে আছেন কমান্ডার প্রদীপ কুমার এবং ‘অফশোর পেট্রোল ভেসেল আইএনএস সুমেধার’ ১২ কর্মকর্তাসহ ১১০ নাবিকের নেতৃত্বে রয়েছেন কমান্ডার সুমিত মালিক।

উভয় নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের দলগুলি আন্তঃকার্যক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে যৌথ মহড়াও অংশগ্রহণ করবে পাশাপাশি একে অপরের সেরা অনুশীলনগুলি থেকে শিখবে।

উভয় নৌবাহিনীর জাহাজ ২৬ মে একসাথে যাত্রা করবে এবং বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র পর্যায়ের মহড়া পরিচালনা করবে যার মধ্যে নৌ মহড়া, কৌশল, অস্ত্রের গুলি চালানো এবং ইন্টারসেপশন অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মহড়াটি ২৭ মে শেষ হবে।

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে এই যৌথ টহল ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দুই দেশের নির্ধারিত সমুদ্র সীমায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান, মানবপাচার, জলদস্যুতা এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

news24bd.tv/আলী