অবশেষে জানা গেলো ফজলি আম কার

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে জানা গেলো ফজলি আম কার

অনলাইন ডেস্ক

ফজলি আমের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) স্বত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের অবসান হলো। এটিকে ‘রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে শুনানি শেষে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার।

আগামী রবিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।  

রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ফজলি আম ঘিরে দুটি জেলার যে দাবি ছিল, সেটির সুরাহা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের অধিদফতরে শুনানি হয়। দুই পক্ষই নিজেদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। সবদিক বিবেচনায় ফজলিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে অধিদফতর।

তিনি বলেন, এই রায়ে কোনও পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনও পক্ষের আপত্তি না থাকলে দুই মাস পর ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।

এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ফজলি আম রাজশাহীর বলে স্বীকৃতি পায়। এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছিল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩-এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করে।

কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে ফজলিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে এর বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির আয়োজন করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর।  

মঙ্গলবার রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম। এদিন বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রায় ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

news24bd.tv/আলী