পরকীয়ায় ছাড়লেন স্বামী-সন্তান,২ বছর পর হলো লাশ

সংগৃহীত ছবি

পরকীয়ায় ছাড়লেন স্বামী-সন্তান,২ বছর পর হলো লাশ

অনলাইন ডেস্ক

স্বামী ও দুই সন্তান ছেড়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করেন রুপালী আক্তার। এর দুই বছর পর নির্যাতনে মৃত্যু হয় তার। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের মস্কিপুর গ্রামে। ঐ ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান স্বামী ফয়সালসহ তার পরিবার।

নিহতের মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে রুপালী আক্তার। প্রায় ১১ বছর আগে পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে বিয়ে হয় তার। এক ছেলে ও এক মেয়ের মা হন রুপালী।

বাবার বাড়িতে থেকে সন্তানকে পার্শ্ববর্তী একটি মক্তবে আরবি পড়ানোর সুবাদে ঘনিষ্ঠ হন ঐ মক্তবের শিক্ষক ফয়সালের সঙ্গে।

দুই বছর আগে পর্যায়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে ফয়সালকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী ফয়সালের সংসারে আরো একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। কয়েক মাস পর ঐ সন্তানকে দত্তক দিয়ে দেন ফয়সাল। আর যৌতুকসহ নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন রুপালীকে।

রুপালীর মা সাফিয়া বেগম অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার স্বামী ও তার পরিবারের অমানবিক নির্যাতনে মৃত্যু হয় রুপালীর। সেই ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে লাশ আমার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা। পরে গ্রামের লোকজন লাশ নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি গিয়ে দেখে স্বামীসহ পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই।

এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুপালীর লাশ উদ্ধার ও অপমৃত্যু মামলা করে। কুমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রুপালীর মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাবার বাড়িতেই তাকে দাফন করা হয়।

বরুড়া থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার জানান, ফয়সালের বাড়ি থেকে রুপালী আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

news24bd.tv/আলী