প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে

সংগৃহীত ছবি

প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী ফেনীতে

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লার হৃদয় নামে এক তরুণের প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে ফেনীতে এসেছেন অঙ্কিতা মজুমদার নামে এক তরুণী। তিনি আসামের দিব্রুগর এলাকার বাসিন্দা। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুরে নানাবাড়ি বেড়াতে এসে প্রেমিক হৃদয় মজুমদারের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেন অঙ্কিতা।

ফেনী মডেল থানা সূত্র জানায়, অঙ্কিতা আসামের দিব্রুগর এলাকার অভিজাত মজুমদার ও রুমা মজুমদারের সন্তান।

তার মায়ের বাড়ি ফেনীতে। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই নানা বাড়িতে বেড়াতে আসতেন অঙ্কিতা। গত ৫ মে নানাবাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর ৭ মে নিখোঁজ হন তিনি।
১২ মে দীর্ঘদিনের প্রেমিক হৃদয়কে বিয়ে করেন অঙ্কিতা।

এ বিষয়ে অঙ্কিতার পরিবার ফেনী মডেল থানায় জিডি করলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৩ মে ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার বলেন, ২০১৬ সালে নানাবাড়ি বেড়াতে এসে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বাসিন্দা হৃদয়ের সঙ্গে প্রেম হয় অঙ্কিতার। মোবাইলে তাদের প্রেম চলছিল। বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পর সম্মতি পাননি অঙ্কিতা। পরে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা।

তিনি আরো বলেন, অঙ্কিতা চাইছেন স্বামীর সঙ্গে থাকতে। কিন্তু তার পরিবার চাইছে পড়াশোনা শেষে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। যেহেতু দুই পরিবারের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। অঙ্কিতা প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাংলাদেশের ভিসা থাকায় আদালত তাকে নিজ জিম্মায় দিয়েছেন। অঙ্কিতা স্বামীর কাছে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানতে চাইলে অঙ্কিতা বলেন, আমি ও হৃদয় ১২ তারিখ বিয়ে করেছি। আমি স্বেচ্ছায় আমার স্বামীর সঙ্গে গিয়েছি। তার সঙ্গে থাকতে চাই।

হৃদয় বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। অঙ্কিতা বলেছে তার পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না। তার ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছি।

এই বিয়ে হৃদয়ের বাবা মেনে নিলেও মেয়েকে ফেরত নিতে চান অঙ্কিতার মা রুমা মজুমদার।  তিনি বলেন, আমি অঙ্কিতা-হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে জানতাম না। আমি মেয়েকে ফেরত নিয়ে যেতে চাই। ওর পড়াশোনা শেষ হয়নি, পড়াশোনা শেষ হলে তাকে ছেলের হাতে তুলে দেব।

হৃদয়ের বাবা বাবুল মজুমদার বলেন, ছেলেমেয়ে দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। ছেলে ভুল করেছে। কিন্তু আমার একটাই ছেলে। তাই ভুল করলেও মেনে নিচ্ছি।

news24bd.tv/আলী