১৫ থেকে ২১ জুন ষষ্ঠ জনশুমারির গণনা চলবে : অর্থমন্ত্রী

ফাইল ছবি

১৫ থেকে ২১ জুন ষষ্ঠ জনশুমারির গণনা চলবে : অর্থমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'জনশুমারিতে তথ্য নেওয়া হবে। অনেকে মনে করতে পারেন শুমারির পরে ট্যাক্স বাড়বে, খাজনা বাড়বে। অনেকে নানা ধরনের কথা বলতে পারেন। কেউ যেন এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ব্যাহত না করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এ বিষয়ে সবার কাছে অনুরোধ থাকবে। আমরা সবাই জানি এ দেশের মানুষ অনেক সহনশীল ও পরিশ্রমী। সবাই সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

'

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জনশুমারি ও গৃহ গণনা ২০২২-এর মাস্টার ট্রেইনারদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গণনা ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশবাসীকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন ষষ্ঠ জনশুমারির গণনা চলবে। আমার আন্তরিক অনুরোধ, আসন্ন জনশুমারিতে সকলে যেন প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে। কেউ যেন গণনার বাইরে না থাকে এবং এই বড় উদ্যোগটি সফল হয়। '

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. শামসুল আরেফিন এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন এবং পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের উপসচিব ড. দীপঙ্কর রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

দেশের সর্বত্র উন্নয়নের চিহ্ন প্রত্যেকে দেখতে পাচ্ছেন উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বিশ্বে আমাদের মান-সম্মান আগের চেয়ে বেড়েছে। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আছি। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হব। ২০৪১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ হব। '

কৃষির উন্নয়ন এবং সে লক্ষ্যে কাজ করার জন্য নির্ভুল তথ্যের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, '২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ এবং ২০৪১ সালে উন্নয়নসমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা দেওয়ার পর গত কয়েক বছরে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। '

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আসন্ন জনশুমারি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, যদিও কভিড মহামারির কারণে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহ গণনা প্রায় দেড় বছর বিলম্বিত হয়েছে। তবে বিবিএস প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই জনশুমারি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তিনি জানান, গণনাকারীদের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় চার লাখ ট্যাব সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। জনশুমারি কার্যক্রম সমন্বিত জনশুমারি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং এর কার্যক্রম রিয়েল টাইম সময়ের মাধ্যমে মানিটর করা হবে।

উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং জোনাল অফিসারদের জন্য পরবর্তী চার দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আগামী ৩০ মে থেকে ২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। পরে সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের জন্য যথাক্রমে ৪ থেকে ৭ জুন এবং ৯ থেকে ১২ জুন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

যষ্ঠ জনশুমারি সফল করতে তিন লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার, চার হাজার ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করবেন। বিবিএস ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ৯০০ জন কর্মকর্তা জনশুমারি কার্যক্রম চলাকালীন জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

news24bd.tv/কামরুল