মডেল বিদিশার মৃত্যুর কারণ জানা গেল

সংগৃহীত ছবি

মডেল বিদিশার মৃত্যুর কারণ জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক

পল্লবী দে’র পর এবার পশ্চিমবঙ্গের দমদমের নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল বিদিশা দে মজুমদার নামের এক মডেল-অভিনেত্রীর মরদেহ। জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী বিদিশা নিজের বাবা মায়ের সঙ্গে রামগড় কলোনির একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

বিদিশার সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যারিয়ার নিয়ে সমস্যায় ছিলেন তিনি।

আর তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে বিদিশার সুইসাইড নোট ঘিরেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

কেউ বলছেন, পেশা-জীবনের অবনতি শেষ করে দিল বিদিশাকে। কেউ বলছেন, ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে।

বিদিশা কাকে দায়ী করলেন? তাহলে আত্মহত্যাই কি বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর কারণ! আপাতত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে মৃতার সুইসাইড নোট।

মডেলের একাধিক বন্ধুর বলছেন, মৃত্যুর জন্য নিজের পেশাকেই দায়ী করেছেন তিনি। ঠিক মতো কাজ পাচ্ছিলেন না। সম্ভবত তার থেকেই ক্রমশ দুশ্চিন্তা, অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। এবং তাতেই শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন উঠতি মডেল বিদিশা।

বিদিশার আরেক বন্ধুর জানান, কোনওটিই ঠিক নয়। বিদিশা লো-প্রেশারের রোগী ছিলেন। কাজের চাপে, শরীর ছিপছিপে রাখার তাগিদে অনেক সময়েই পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া করে উঠতে পারতেন না। ফলে, প্রায়ই নাকি মাথা ঘুরত তাঁর। এ ছাড়া, ঋতুস্রাবের সময়েও প্রতি মাসে প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না। বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এর জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সন্দেহ ছিল, বিদিশার সিস্ট রয়েছে। তাই প্রতি মাসে ঋতুকালীন পরিস্থিতিতে এত কষ্ট পান তিনি।

তার বন্ধুর আরও দাবি, 'ক্যানসার হলে বিদিশা কষ্ট করে কেন মরতে যাবে? চিকিৎসা না করালে এমনিই তো জীবন ফুরিয়ে যেত!’’ তা ছাড়া, চট করে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর মেয়েই নয় বিদিশা'। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা 

news24bd.tv/রিমু