ত্রাণের সামগ্রী বিক্রি করছে রোহিঙ্গারা, বিপাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

ত্রাণের সামগ্রী বিক্রি করছে রোহিঙ্গারা, বিপাকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা প্রতিদিনই পাচ্ছে  মানবিক সহায়তা। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, দেশিয়-আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিতরণ করছে।

তবে উদ্বিগ্নের বিষয় হচ্ছে- রোহিঙ্গা পরিবারের একাধিক সদস্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ত্রাণকার্ড সংগ্রহ করেছে। এসব কার্ড নিয়ে অতিরিক্ত ত্রাণ সংগ্রহ করছে তারা।

আর সেই ত্রাণ খোলা বাজারে দেদারসে বিক্রি করছে।  

রোহিঙ্গারা এসব পণ্য সুলভ মূল্যে যত্রতত্র বিক্রি করায় বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ফলে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অথচ এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই।

 

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের বলি হয়ে গেল বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফে। এই দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১২টির বেশি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির গড়ে তুলে রোহিঙ্গারা। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে চাল, ডাল, সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বেশি ত্রাণ পাওয়ায় তারা তা বিক্রি করে দিচ্ছে।

আর এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট। খোলা বাজারে ত্রাণ বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ।

রোহিঙ্গারা বিষয়টি স্বীকার করলেও এর পেছনে আলাদা যুক্তি দাঁড় করিয়েছে। মধুরছড়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানিয়েছে,তাদের নিয়মিত চাল-ডাল দেওয়া হলেও মাছ-মাংস দেওয়া হয়না বললেই চলে। এজন্য অতিরিক্ত ত্রাণ বিক্রি করে তারা মাছ-মাংস কেনেন।

আরেক রোহিঙ্গা বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে সব কিছু পাওয়া যায় না। তাই অতিরিক্ত ত্রাণ বাজারে বিক্রি করে সাংসারিক চাহিদা মেটাতে হয় তাদের।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে বাজারে মন্দাভাব। স্থানীয়রা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ক্রয় করার কারণে ক্রেতারা দোকান বিমুখ হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান  বলেন, রোহিঙ্গারা খোলা বাজারে ত্রাণ বিক্রি করছে- এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর