খুলনায় সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

সংগৃহীত ছবি

খুলনায় সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা:

পদ্মা সেতু নিয়ে নানা অপপ্রচারের প্রতিবাদে খুলনায় ছাত্রলীগের মিছিলে ছাত্রদল হামলা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার।  

বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল, যুবলীগ মহানগর আহ্বায়ক এসএম শফিকুর রহমান পলাশ উপস্থিত ছিলেন।  

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ হাওলাদার বলেন, পূর্ব নির্ধারিত ছাত্রলীগের মিছিলটি ডাকবাংলা চেম্বার বিল্ডিং দিক থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাচ্ছিল তখন পিকচার প্যালেস মোড়ে ছাত্রদল হামলা করে।

খুলনা থানার দিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হতভম্ব হয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি বিএনপির দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করেছে ছাত্রদল। এতে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে আমরা সেখানে হামলার ঘটনা প্রতিহত করি।  

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পিকচার প্যালেস মোড় থেকে খুলনা সদর থানা ও কেডি ঘোষ রোড বিএনপি কার্যালয় পর্যন্ত কয়েক দফা ছাত্রলীগ- পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। বিএনপি নগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করি। সমাবেশে আসা মিছিলের ওপর প্রথম ছাত্রলীগ হামলা করে। পরে তাদের সাথে পুলিশ একত্রিত হয়ে সমাবেশ স্থলে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল, ১৫০ রাউন্ড রারার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  

news24bd.tv/কামরুল