পিকে হালদারকে ১১ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। ১০ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ মে) পিকে হালদার তার ভাই প্রাণেশ হালদারসহ আটক পাঁচজনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হয়। শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ইডির দপ্তর থেকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পিকে সহ আটক পাঁচজন। গাড়ি থেকে আদালতের লকআপে পিকে হালদারকে ঢোকানোর সময় সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
যদিও গ্রেপ্তারের পর তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার সময় এবং চিকিৎসার জন্য যখন তাকে বের করা হয় তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন পিকে।
গ্রেপ্তারের পর পিকে তিনবার মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। পিকের ভাই প্রাণেশ হালদার বলেছিলেন তিনি কিছুই জানেন না তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে।
পিকে হালদারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসংক্রান্ত ভারতীয় আইনের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ৩ এবং ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে ইডি। ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথম তিন দিনের জেরা শেষে প্রায় ১৫০ কোটি রুপির বেশি সম্পদের হদিস পেয়েছে ইডি।
তিনি বলেন, বিগত ১০ দিনে ক্রমাগত জেরা ও তল্লাশি অভিযানে শেষে আরও একাধিক লুকায়িত সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি, যার আর্থিক মূল্যমান ৩০০ কোটি রুপির মতো। িধৃত ছয়জনের কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল ফোনসহ ৮১টি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট উদ্ধার করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে ২৪ টি মোবাইলের ডেটা হাতে আসার পরেই ইডি কর্মকর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচারের তথ্য মিললেও বাস্তবে পাওয়া সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই কম। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, পাচারের টাকার বড় অংশ পিকে হালদার ও তার সঙ্গীরা গোপনে অন্যত্র লগ্নি করেছেন। কিন্তু ঠিক কোথায় তারা লগ্নি করেছেন তা এখনও স্বীকার করেননি।
মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে দুবাই, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ কয়েকটি রাষ্ট্রের কিছু সূত্রের নাম জানা গেছে, যেসব মাধ্যম হয়ে টাকা পাচার হত বাংলাদেশ থেকে। আরেকটি সূত্র বলছে, ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই হাই প্রোফাইল এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হতে পারে ভারতের আরেকটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইএর হাতে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব, ভারতীয় নথি, অনুপ্রবেশ, অর্থলগ্নি সংক্রান্ত একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করতে পারে সিবিআই।
ইডি কর্মকর্তারা বলছেন, সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চমকপ্রদ তথ্য তারা পেয়েছেন। তদন্তে তিনি ‘তুরুপের তাস’ হতে পারেন বলেও মনে করছেন তারা জিজ্ঞাসাবাদে শর্মী প্রথমে নিজেকে পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদারের স্ত্রী বলে নিজেকে পরিচয় দিলেও পরে নানামাধ্যমে জানা গেছে তিনি পি কে হালদারের বান্ধবী।
news24bd.tv/আলী