অর্ধ কোটি টাকার একি সেতু, না উড়ালসড়ক?

সংগৃহীত ছবি

অর্ধ কোটি টাকার একি সেতু, না উড়ালসড়ক?

অনলাইন ডেস্ক

মানিকগঞ্জের ঘিওর পশু হাসপাতালের মোড়ে গেলে চোখ আটকে যাবে এক স্থাপনায়। সামনে সটান দাঁড়িয়ে থাকা এই স্থাপনায় উঠে চারপাশ দেখতে চাইলে অবশ্য হতাশ হতে হবে। কারণ, এর দুপাশে নেই কোনো সিঁড়ি। আবার সড়কের দৈর্ঘ্য বরাবর তৈরি করা এ স্থাপনায় ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়কও।

ঘিওর-মানিকগঞ্জ সড়কের ওপর থাকা এই স্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন অনেক? এটি কি পদচারী সেতু, নাকি উড়ালসড়ক?  

ঘিওর-মানিকগঞ্জ সড়কের ঘিওর পশু হাসপাতাল মোড়ে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি এ স্থাপনা কারও উপকার করছে কি? হ্যাঁ, একটা উপকার যে হচ্ছে না, তা নয়। হঠাৎ বৃষ্টি বা প্রখর রোদে পথচারীদের মাথার ওপর ছাউনি হিসেবে এটি সেবা দিচ্ছে! এ ছাড়া আর কোনো উপকার খুঁজে পাওয়া গেল না।  

স্থানীয়রা জানান, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা স্থাপনাটি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে। তিন রাস্তার মোড়ে হওয়ায় মাঝেমধ্যে ছোট যানবাহনের সঙ্গে এর ঠোকাঠুকি লাগে।

মাথার ওপরে ঝুলে থাকা স্থাপনাটি এখন পণ্যবাহী ট্রাক, বাস ও ছোট যানবাহন চালকদের গলার কাঁটা হয়ে আছে।  

মানিকগঞ্জের ঘিওর পশু হাসপাতাল মোড়ে এই স্থাপনা আসলে কী কারণে ও কার জন্য তৈরি করা হয়েছে, তার উত্তর জানে না কেউ।

স্থানীয় সরকার এবং সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারলেন না। শুধু জানালেন, স্থাপনাটি তৈরিতে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। কার নির্দেশে, কী কারণে এটি নির্মাণ করা হলো, তার কোনো উত্তর অবশ্য তাঁদের কাছে পাওয়া গেল না।  

স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অদক্ষ কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে ঘিওর-মানিকগঞ্জ-ঢাকা সড়কের মাঝখানে এ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অপরিকল্পিত এ স্থাপনা শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয়, এর পেছনে নষ্ট হয়েছে সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। জনগণের করের টাকার এমন অপচয় মেনে নেওয়া যায় না।

news24bd.tv/আলী