ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের কারণে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। এদিকে যুদ্ধের কারণে লাখ লাখ টন শস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্য কিয়েভ আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠাতে পারছে না। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের জন্য তার দেশকে দায়ী করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অর্থহীন। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নাহামেরের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ কথা বলেন তিনি।
ক্রেমলিন জানায়, রাশিয়ার ওপর আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর নিষেধাজ্ঞা খাদ্য সংকটের মূল কারণ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একইসঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে তার দেশের শান্তি আলোচনায় নাশকতামূলক তৎপরতার চালানোর জন্য কিয়েভকে অভিযুক্ত করেন। টেলিফোনালাপের পর অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেন, তার দেশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে বলে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার একইসঙ্গে দেশটির খাদ্যশস্য রপ্তানির পথে রাশিয়া প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বের খাদ্য সংকটের জন্য নিজেদেরকেই দায়ী করে; কারণ, তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউক্রেনের খাদ্যশষ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গমের যোগান আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এছাড়া, বিশ্বের বার্লি, ভুট্টা, ক্যানোলা ও সূর্যমুখীর তেলের প্রধান উৎস ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। এরইমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। শরণার্থী হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
news24bd.tv/রিমু
